সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: পুরনো আক্রোশেই অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ নাথ চৌধুরিকে খুন করেছে ভাড়াটে সঞ্জয় আগরওয়াল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সল্টলেকে বৃদ্ধ খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। মৃতের বাড়ির একতলায় গ্যারাজ ভাড়া নিয়েছিল সঞ্জয়। শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে সে।
[ব্যক্তিগত আক্রোশেই কি যৌনাঙ্গ ছেদ? বৃদ্ধ খুনে রহস্য ঘনাল সল্টলেকে]
সল্টলেকে বিডি ব্লকের একটি দোতলা বাড়িতে একাই থাকতেন পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ অভিজিৎ নাথ চৌধুরি। বনিবনা না হওয়ার আলাদা থাকতেন স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলের সিঁড়ির ঘর থেকে অবসরপাপ্ত ওই ইঞ্জিনিয়ারের গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর যৌনাঙ্গটিও কেটে বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, প্রণয়ঘটিত কারণে অভিজিৎ নাথ চৌধুরিকে খুন করা হয়েছে। তদন্তকারী জানতে পেরেছিলেন, পরিচারিকা দেবলীনা বিশ্বাস ওরফে নিশার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অভিজিৎবাবুর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থেকে নিশাকে জেরা করতেও শুরু করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, সিঁড়ির ঘর ও গ্যারাজের দরজায় রক্তের দাগই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শুক্রবার সকালে বাড়ির ভাড়াটে সঞ্জয় আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে বাড়ির মালিক অভিজিৎ নাথ চৌধুরিকে খুনের কথা সে স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[বৃদ্ধা প্রাপ্য না পেলে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মাইনে বন্ধ, তোপ আদালতের]
তদন্তকারী জানিয়েছেন, ভাড়াটে সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ওই ইঞ্জিনিয়ারের সম্পর্ক ভাল ছিল না। দীর্ঘদিন ভাড়া বকেয়া থাকায় বেশ কয়েকবার দু’জনের মধ্যে তুমুল অশান্তিও হয়। জেরায় সঞ্জয় জানিয়েছে, সেই আক্রোশেই অভিজিৎ নাথ চৌধুরিকে খুন করেছে সে। কিন্তু, ওই বৃদ্ধের যৌনাঙ্গটি কেটে দেওয়া হয়েছিল কেন? তদন্তকারীদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় খুন হন সল্টলেকের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার জন্য খুনের পর অভিজিৎ নাথ চৌধুরির যৌনাঙ্গটি কেটে দেয় সঞ্জয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বাড়ির লোককে সে জানায়, ওই বৃদ্ধের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। বিকেলে সিঁড়ির ঘর থেকে অভিজিৎবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের যাতে কোনও সন্দেহ না হয়, তারজন্য পুলিশ আসার পরও সারাক্ষণ ঘটনাস্থলেই ছিল সঞ্জয়।
[সিনেমায় বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ ভাবনা, শহরে অন্য স্বাদের চলচ্চিত্র উৎসব]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.