শুভময় মণ্ডল: কলকাতাতেও থাবা বসিয়েছে করোনা। ইতিমধ্যে দু’জনের শরীরে মিলেছে মারণ চিনা ভাইরাসের প্রমাণ। এদিকে করোনা সতর্কতায় বাজার থেকে উধাও মাস্ক, স্যানিটাইজার। এই পরিস্থিতিতে গরিব মানুষদের পাশে ‘দেবদূতের’ মতো দাঁড়ালেন বাঘাযতীনের পরিমল দে। নিজের উদ্যোগে বাড়িতে ওয়ার্কশপ খুলে শুরু করলেন মাস্ক এবং স্যানিটাইজার তৈরির কাজ। ওই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার তৈরি করে আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলারা উপকৃত হবেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে মহিলাদের তৈরি করা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে গরিব মানুষদের হাতেও।
বাঘাযতীন এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা পরিমল দে। জীবনের ৭৪ টি বসন্ত পার করেছেন তিনি। নিজের বলতে রয়েছেন মেয়ে। তিনি পেশায় চিকিৎসক। আর পাঁচটা মানুষ যখন নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত তখন ব্যতিক্রমী পথে হেঁটে অপরিচিতদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়াই অভ্যাস বৃদ্ধের। বয়স বেড়েছে। কিন্তু স্বভাবে কোনও বদল নেই পরিমল দে’র। পরিবর্তে আজও দুঃস্থদের পাশে থাকেন তিনি। প্রায় সারা বছরই গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডিম, দুধ, কলা বিতরণ করেন। দুঃস্থ কচিকাঁচাদের পড়াশোনার ভার নিতেও কখনও পিছপা হননি বাঘাযতীনের পরিমলবাবু।
করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহার করা শ্রেয় বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু করোনা আতঙ্কের মাঝে বাজার থেকে উধাও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক। চলছে দেদার কালোবাজারি। অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে মাস্ক কেনার সামর্থ নেই সকলের। এদিকে, দুঃস্থদের জন্য বরাবরই মন কেঁদে ওঠে পরিমলবাবু। তাই তো বিপদের দিনে বাড়িতেই তিনি শুরু করেছেন মাস্ক তৈরির কাজ। ডাক্তার মেয়ের বাবা বলে কথা! তাই জনদরদি বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন মেয়েও। ইউটিউব দেখে এবং মেয়ের পরামর্শ অনুযায়ী মাস্ক তৈরি করাচ্ছেন। বাড়িতেই তৈরি হচ্ছে স্যানিটাইজারও। গরিব মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। একইভাবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার তৈরির মাধ্যমে গরিবরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলেও আশা ওই বৃদ্ধের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.