ছবি: প্রতীকী
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: করোনামুক্ত হয়েছেন বছর সত্তরের বৃদ্ধা। উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি করোনা হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বৃদ্ধাকে উত্তর হাওড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শম্ভু হালদার লেনে তাঁর ছেলের ফ্ল্যাটে থাকতে দিলেন না প্রতিবেশীরা। সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধা যখন হাসপাতাল থেকে ফিরে তাঁর ছেলের ফ্ল্যাটে থাকতে যান তখনই আপত্তি তোলেন তাঁরা। প্রতিবেশীদের চাপে শেষ পর্যন্ত নিজের ছেলের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন বৃদ্ধা।
গত ২৩ এপ্রিল ওই বৃদ্ধার বছর ত্রিশের ছোট ছেলের মৃত্যু হয় উত্তর হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালে। নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে তাঁর ছেলের সৎকার করা হয় শিবপুর শ্মশানঘাটে। ছোট ছেলের সঙ্গেই শম্ভু হালদার লেনের বস্তির ঘরে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। ছোট ছেলে করোনা সন্দেহে মারা যাওয়ার পর গত ২৬ এপ্রিল বৃদ্ধাকে উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় বৃদ্ধাও করোনা আক্রান্ত। সেখানে চিকিৎসার পর করোনামুক্ত হন ওই বৃদ্ধা। সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সন্তানহারা শোকার্ত বৃদ্ধা তাঁর মেজো ছেলের ফ্ল্যাটে থাকতে যান। কিন্তু সোমবার রাতে তাঁকে সেখান থেকে বার করে দেন প্রতিবেশীরা।
বৃদ্ধার পরিবারের দাবি, করোনামুক্ত ওই বৃদ্ধাকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় মালিপাঁচঘড়া থানায় জানানো হয়। তবে তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ায়নি পুলিশ। ওই বৃদ্ধার শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে। তা সংক্রমিত হবে এই বলে ওই বৃদ্ধাকে রীতিমতো তাঁর ছেলের ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেন প্রতিবেশীরা। অবশেষে ওই বৃদ্ধা তাঁর মৃত ছেলের বসতির ঘরে গিয়ে ঠাঁই নেন। ওই ঘরটিও ফ্ল্যাটের অদূরে শম্ভু হালদার লেনেই অবস্থিত। হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের বোঝানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.