ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে (Lockdown) চরম আর্থিক অনটনের কারণে কয়েকদিন আগেই দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রিজেন্ট পার্কের এক বৃদ্ধা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তাঁদের ভরতি করা হয় হাসপাতালে। চারদিন সেখানে লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বৃদ্ধা ও তাঁর ছোট ছেলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুস্থ রয়েছেন মৃতার অপর সন্তান।
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার ১৭০, সোনালি পার্কের একটি তিনতলা আবাসনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধা, সঙ্গে দুই ছেলে। ছোট ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। বড় ছেলে হাই কোর্টের ক্লার্কের কাজ করতেন। তাতে যৎসামান্য যা রোজগার তা দিয়েই চলত ভাইয়ের চিকিৎসা, বাড়িভাড়া। তাই সংসার চালাতে বাবার সঞ্চয়েও হাত পড়েছিল। এভাবে কোনও ক্রমে কেটে গেলেও লকডাউনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ওই পরিবারের। করোনা আতঙ্কে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্লার্কের কাজটি হারান বৃদ্ধার বড় ছেলে। ফলে দিনেদিনে অভাব প্রকট হতে থাকে সংসারে। তিনজনেই স্থির করেন, জীবন থেকে পালাবেন, আত্মহত্যা করবেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেইমতোই শুক্রবার সকালে তিনজনই উইপোকা মারার বিষ খেয়ে নেন। বৃদ্ধা মা এবং ছোট ছেলে তাতে অচৈতন্য হয়ে পড়লেও, জ্ঞান ছিল বড় ছেলের। তিনি নিজেই এক আত্মীয়কে ফোন করে বলেন, তাঁরা অসুস্থ, হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
তড়িঘড়ি আত্মীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ভরতি করান বাঘাযতীন হাসপাতালে। সেখানেই শুরু হয় চিকিৎসা। বৃদ্ধার বড় ছেলে চিকিৎসায় সাড়া দিলেও ক্রমশ অবস্থার অবনতি হতে থাকে বৃদ্ধা ও তাঁর ছোট ছেলের। পরে মঙ্গলবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বৃদ্ধা ও তাঁর ছোট ছেলে। জানা গিয়েছে, বড় ছেলে সুস্থ রয়েছেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.