ছবি: শুভাশিস রায়
অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় অটোচালকের রহস্যমৃত্যু। রবিবার সকালে আনন্দপুরে একটি গুদামের কাছ থেকে ওই যুবকের মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার করা হয়। মদের ঠেকে বচসার জেরে খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান মৃতের পরিজনদের। দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। কে বা কারা খুন করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ জানা। পেশায় অটোচালক। আনন্দপুরেরই স্থানীয় বাসিন্দা তিনি। শনিবার বাড়ি থেকে বেরোন বিশ্বজিৎ। তবে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। শুরু হয় খোঁজখবর। এরপর রবিবার সকালে একটি গুদামের সামনে অটোচালকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ দেখে অটোচালকে মুখ থেঁতলানো। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক। এছাড়া তাঁর শরীরে অন্য আর তেমন ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাতের ফলে প্রাণহানি হয়েছে বিশ্বজিতের।
দেহ উদ্ধার করতে গেলে আনন্দপুর থানার পুলিশকে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, আনন্দপুরে মদের ঠেকে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেখানে মদ্যপানের সময় বচসার জেরেই খুন হতে হয় তাঁকে। কে বা কারা এ কাণ্ড ঘটাল তা জানতে অবিলম্বে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার দাবিতে সরব স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের মদতেই এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়েই চলেছে।
এলাকার মদের ঠেকেও ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। খুব তাড়াতাড়ি ঘটনার কিনারা করা হবে বলেই আশ্বাস পুলিশের। আশ্বাসের পরই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। নতুন করে যাতে আর কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.