কৃষ্ণকুমার দাস: কলকাতায় (Kolkata) ব্যাঙ্কোয়েট বা বিলাসবহুল হল ভাড়া করে বিয়ে অথবা অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান আয়োজন করলে দিতে হয় ‘বিনোদন কর’। শহরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্কোয়েটে নিমন্ত্রিত পিছু চার ও নন—এসি হলঘরে ব্যক্তিপিছু দু’টাকা হারে তা দিতে হয়। এতদিন পুরসভার ট্রেজারিতে এসে বিনোদন কর (অ্যামিউজমেন্ট ট্যাক্স) জমা দিতে হত। তবে এবার ঘরে বসেই অ্যাপ মারফত অনলাইনে পুরসভায় এই কর জমা দেওয়া যাবে। করোনা আবহে (Corona Pandemic) পরিবর্তিত নাগরিক জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দ্রুত এই অ্যাপ তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন পুরসভার বিভাগীয় প্রশাসক ও পুরসভার বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। একমাসের মধ্যেই নয়া এই অ্যাপ চালু করার কথাও জানান তিনি। তবে যাঁরা বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান করবেন তাঁদের এই কর দিতে হবে না।
কলকাতায় যে কোনও বিলাসবহুল হল বা হোটেল—রেস্তরাঁয় আনন্দ অনুষ্ঠানের জন্য আগে থেকে নিমন্ত্রিত পিছু ‘বিনোদন কর’ বাধ্যতামূলক রয়েছে। কিন্তু পুরসভার একাংশের অফিসারদের উদাসীনতায় ওই কর আদায় হচ্ছে না। কিন্তু এবার বিভাগীয় প্রশাসক অতীন ঘোষ দায়িত্ব নিয়ে ওই কর জমা বাধ্যতামূলক করলেন। মাসখানেক পর থেকে যে কেউ চাইলে ‘বিনোদন কর’ অ্যাপ মারফত অনলাইনে জমা দিতে পারবেন নাগরিকরা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনও হলঘরে ৪০০ জনকে নিমন্ত্রণ করলে আয়োজককে মাথা পিছু চার টাকা হারে মোট ১৬০০ টাকা জমা দিতে হবে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পুরকর্তারা।
শুক্রবার পুরভবনে আইন, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্রেড লাইসেন্স, বিনোদন কর বিভাগের অফিসারদের নিয়ে রাজস্ব আদায় নিয়ে নয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বৈঠক করেন বিদায়ী ডেপুটি মেয়র। হোটেল—রেস্তরাঁ ও ব্যাঙ্কোয়েটের ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে বিনোদন কর জমা দেওয়ার বাধ্যতামূলক করেছেন তিনি। যদি কেউ এই কর সময় মতো জমা না দেন তবে সেই হোটেল বা ব্যাঙ্কোয়েটের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হবে। বিনোদন কর বিভাগের ইন্সপেক্টর ও অফিসারদের প্রতিটি ওয়ার্ডের ব্যাঙ্কোয়েট ও বিয়েবাড়িতে অনুষ্ঠান নিয়ে প্রতিনিয়ত নজরদারি করতে বলেছেন বিদায়ী ডেপুটি মেয়র। যদি বিনোদন কর না দিয়ে এমন অনুষ্ঠান হয় তবে হল মালিকের বিরুদ্ধে মিউনিসিপ্যাল কোর্টে মামলা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.