তরুণকান্তি দাস: দিঘা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ঝড়। সমুদ্র সৈকতকে বাঁ দিকে রেখে এগিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেখানে বড় বিপর্যয় হয়নি। বুধবার এগারোটা নাগাদ নবান্নে ঢুকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ”মোট পাঁচ লক্ষ মানুষকে সরাতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে। কলকাতাতেও চার হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিবিরে।” তাঁর আশঙ্কা, সন্ধ্যার পরে বিপর্যয় চরমে উঠবে। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন “বছরে চারবার এইরকম বিপর্যয় সামলাতে হয় রাজ্যকে, তাদের রাজ্যের কী থাকে? বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকা খুবই ভঙ্গুর। তাই বাড়তি নজর রাখতে হচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কন্ট্রোল রুমে বসে রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন এবং প্রয়োজনে নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “সবাই প্রার্থনা করি, রাজ্যবাসী যেন ভাল থাকেন। সকলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পান।” নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে দিঘায় এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও সেখানে প্রচুর গাছ পড়েছে। উপকূলবর্তী গ্রামের বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি ও হয়েছে। জলধা খুঁটিতে মৎস্যজীবীদের চালা উড়ে গিয়েছে। সমুদ্রের তীরবর্তী ছোটখাটো দোকান ঘরের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। অতি জরুরি ক্ষেত্র ছাড়া বিদ্যুৎ বন্ধের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ব্যবস্থা এখনই নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, দুপুর তিনটে থেকে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে ঝড় সঙ্গে বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বেশকিছু নদী বাদে ধস নেমেছে। গাছ পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গোসাবা ও কুলতলির বিভিন্ন এলাকার ফোনের টাওয়ার কাজ করছে না। জেলাশাসককে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড় নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন জেলাশাসক উলগানাথনের সঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.