গৌতম ব্রহ্ম: পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যে আসার কথা শাহর। নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন তিনি। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বাংলা, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড। এই চার রাজ্য পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এই পরিষদের চেয়ারম্যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভাইস চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৫ নভেম্বর নবান্নের সভাঘরে এই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। প্রথামাফিক এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের। বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুখোমুখি হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ না আসতে পারায় সেই বৈঠক পিছিয়ে যায়।
নবান্ন সূত্রের খবর, ৫ নভেম্বর অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি শাহ। সেকারণেই আগামী ১৭ ডিসেম্বর নতুন করে ওই বৈঠকের দিন হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। এর আগেও নবান্ন সভাঘরে এই ধরনের হাইপ্রোফাইল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিং। তাঁর নেতৃত্বেই এই বৈঠক হয়েছিল। সেবারে এই ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (Eastern Zonal Security Council) বৈঠকের পাশাপাশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে আলাদা করেও বৈঠক করেন রাজনাথ। যদিও এবারে অমিত শাহর আলাদা করে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে মূলত পূর্ব ভারতের চার রাজ্যের নিরাপত্তা, আন্তঃরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। এবারেও চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রের খবর, আন্তঃরাজ্য সীমানায় পাচারের অভিযোগ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ করতে পারে রাজ্য সরকার। সাম্প্রতিক অতীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে গরু, কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্রী বাংলার মাধ্যমে বাংলাদেশে চালান করছে দুষ্কৃতীরা। রাজ্য সরকার সীমিত ক্ষমতায় এই পাচার চক্র রুখে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, আইনের গ্যাঁড়াকলে সম্ভব হচ্ছে না। উলটে বদনাম হচ্ছে বাংলার। এই বিষয়টি নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে রাজ্য সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.