রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শহরের পুজোর দখল করার মরিয়া চেষ্টা করেছিল বিজেপি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও সাফল্য তেমন আসেনি। সংঘশ্রী নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সেই পুজোটিও শাসক দল ঘনিষ্ঠদের হাতেই রয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তাতেও দমে যাচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি। পুজোতে জনসংযোগের সমস্তরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। নেওয়া হয়েছে একাধিক কর্মসূচি। যার সর্বাগ্রে রয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’কে দিয়ে অন্তত একটি পুজো উদ্বোধন করানো। আগামী ১ অক্টোবর দুদিনের সফরে শহরে আসছেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, সল্টলেক বা শহর কলকাতার অন্য কোনও প্রান্তের যে কোনও একটি পুজোর উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রের খবর, পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি একটি সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। বৈঠকের জায়গা হিসেবে প্রাথমিকভাবে নেতাজি ইন্ডোরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠক থেকেই দলের সাংগঠনিক স্তরের নেতাদের এনআরসি নিয়ে বার্তা দেবেন অমিত শাহ। এনআরসি ইস্যুতে কীভাবে প্রচার করতে হবে, বা গেরুয়া শিবিরের অবস্থান কী? সেসব নিয়ে বার্তা দেবেন তিনি। নেতাজি ইন্ডোরের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, সেখানে সভার অনুমতি না পাওয়া গেলে বিকল্প ভেন্যুর কথাও ভাবছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে, নেতাজি ইন্ডোরের আশেপাশেই কোনও একটি পুজোর উদ্বোধন অমিত শাহকে দিয়ে করিয়ে নিতে। যাতে অন্তত মুখরক্ষা হয়। আপাতত, সল্টলেক এবং কলকাতা মিলিয়ে মোট ৫টি পুজো নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পাঁচটি পুজোর মধ্যেই একটির উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রের খবর, শহর এবং শহরতলির মোট ৫০ টি পুজো আবেদন করেছে বিজেপি নেতাদের দিয়ে উদ্বোধন করানোর। তাঁরা অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতানেত্রীদের দিয়ে পুজো উদ্বোধন করাতে চাইছেন। লড়াইয়ে রয়েছেন সানি দেওল, স্মৃতি ইরানি, গৌতম গম্ভীরদের মতো সেলিব্রিটিরা। শহর এবং শহরতলির পুজোগুলি দলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা উদ্বোধন করবেন। জেলার পুজোতেও এবার প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বিজেপি। সেসব পুজোর উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়করা। তাছাড়া এরাজ্যের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কাজে লাগাতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.