সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির পর ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan) নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রের বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভের কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংঘাতের মেঘ কাটাল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য। করোনার মাঝে এবার বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোমর বেঁধে লড়ছে রাজ্য। অথচ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে প্রায় অন্ধকারে রেখে বৈঠকে বসে কেন্দ্র। তা নিয়ে আবারও সোমবার কেন্দ্র-রাজ্য জড়ায় সংঘাতে। কেন্দ্র প্রোটোকল না মেনে বৈঠক করেছে বলেই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর। করোনার মাঝে আচমকা আমফানের আবির্ভাবে যথেষ্ট চিন্তিত রাজ্য সরকার। এরই মাঝে সোমবার আচমকাই রাজ্যকে প্রায় অন্ধকারে রেখে আমফান নিয়ে বৈঠক করে কেন্দ্র। সে বিষয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রোটোকল না মেনে কেন্দ্র বৈঠক করেছে বলেই তোপ দাগেন তিনি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বড়সড় প্রভাব ফেলার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের দিকে ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হবে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় যাঁরা থাকেন ৩-৪ দিন একটু সাবধানে থাকবেন। বুলবুলের আগে ঠিক যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেভাবেই সকলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনা, আমফান সবই একসঙ্গে হয়ে গিয়েছে। ঘাড়ের উপর আমফান নিঃশ্বাস ফেলছে, কত কী দেখব? কি আর করা যাবে?” এই নিয়ে বিরোধীরা তোপ দাগে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেন তাঁকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা নিয়ে সবরকম সাহায্যের পাশাপাশি রাজ্যকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (NDRF)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.