Advertisement
Advertisement
অ্যাম্বুল্যান্স

অগ্রিমের টাকা না মেলায় হাসপাতালে যেতে নারাজ অ্যাম্বুল্যান্স, বেঘোরে প্রাণ গেল রোগীর

অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে বেধড়ক মারধর করেন রোগীর আত্মীয়রা।

Ambulance driver demands money, patient dies waiting

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 15, 2020 9:20 am
  • Updated:January 15, 2020 9:20 am  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে নগদ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এমনই দাবির জেরে মরণাপন্ন এক রোগীকে বাঁচাতে পারল না পরিবার। রোগীর মৃত্যুর পরই ভাঙচুর চালান হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। মারধরও করা হয় চালককে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রহৃত চালককে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির হাতিয়াড়া অঞ্চলে। 

জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত সওয়া বারোটা নাগাদ। হাতিয়াড়া ঝিলবাগানের বাসিন্দা শিবু সর্দারের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়াকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাড়ার এক অ্যাম্বুল্যান্সকে খবর দেন তাঁর পরিজনরা। চাঁদু সরকার নামে এক ব্যক্তি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। কলকাতার এক হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কথা হয়। ভাড়া ঠিক হয় ৭০০ টাকা। অভিযোগ, গাড়ি ছাড়ার আগে আগাম ৫০০ টাকা চান চালক। শিবুবাবুর ছেলে অরূপ সর্দার জানান, ওই ব্যক্তির দাবি মতো টাকা দিতে রাজি ছিলেন তাঁরা। তবে চালককে বলা হয়েছিল রোগী সংকটাপন্ন। তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া প্রয়োজন। হাসপাতালে পৌঁছে সব প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাগরসঙ্গমে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় ৩৫ লক্ষ পুণ্যার্থী, কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই চলছে পুণ্যস্নান]

অভিযোগ, এই কথা কিছুতেই মানতে চাননি চালক। টাকা না পেলে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। ইতিমধ্যে অসুস্থ শিবুবাবুর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়। শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীর পরিজনরা। শুরু হয় চালককে মারধর। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধার করা হয় চালককে। পুলিশের তরফেই অভিযুক্তের তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনায় কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের না করায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। জানা গিয়েছে, চালক পূর্বে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার কর্মী ছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্সটিও পুরসভার ছিল একদা। এখন সেটি চাঁদুর হেফাজতে ছিল। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও পক্ষই কিছু বলতে চাননি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement