Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

করোনা সন্দেহভাজনকে আনতে গিয়ে প্রহৃত অ্যাম্বুল্যান্স চালক, কাঠগড়ায় পরিজনরা

মধ্য কলকাতার দিলখুশা স্ট্রিটের ঘটনায় স্তম্ভিত পুর কর্তারা।

Ambulance driver beaten up for bringing Corona suspect in Kolkata

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 30, 2020 10:20 pm
  • Updated:April 30, 2020 10:20 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: একের পর এক মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন জেনেও কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশ কতটা ‘অবিবেচক ও অমানবিক’ হতে পারে তার নজির গড়ল কন্টেনমেন্ট জোনে থাকা হটস্পট মধ্য কলকাতার দিলখুশা স্ট্রিট। সরকারি খরচে চিকিৎসার জন্য করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীকে আনতে যাওয়া কলকাতা পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স চালককে মারধর করে ফেরালেন শ’দুয়েক বাসিন্দা। উত্তেজিত জনতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও চালককে হুমকি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, “রাজেশ (পরিবর্তিত) নামের ওই রোগীকে বাঙুরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ দিয়ে এলাকা সিল করানোর কোনও দরকার নেই। ওকে হাসপাতালে যেতে দিলে এখানকার মানুষের ‘জিনা হারাম’ (জীবন অতিষ্ট) হয়ে যাবে। যদি করোনা হয়ে মরেও তবে বাড়িতেই থাক।” গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে স্থানীয় ক্লাবের সাহায্যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে পুরসভায় স্বাস্থ্যকর্তাদের ঘটনার রিপোর্ট দিয়েছেন।

ঘটনাস্থল মধ্য কলকাতার সাত নম্বর বরোর ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড, কাউন্সিলর কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ও বিধায়ক ইকবাল আহমেদ। বাড়ি-বাড়ি থার্মাল গান নিয়ে পরীক্ষার জেরে পুরস্বাস্থ্যকর্মীরা ২৬ নম্বর দিলখুশা স্ট্রিটে রাজেশ নামের এক রোগীর দেহে করোনার উপসর্গ পান। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হন পুরকর্মীরা। কিন্তু রোগীর পরিজন ও স্থানীয়রা ওই অ্যাম্বুল্যান্সে চড়-চাপড় মেরে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পুরসভার শীর্ষকর্তারাও। এদিন সন্ধ্যায় রাজেশের স্ত্রী পিংকিও ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “পাড়ার কিছু মানুষ ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের উপর চড়াও হয়েছিলেন। পাড়ার লোকেরা যাঁরা মারধর করেছে তাঁদের আমরা চিনি না।” পালটা প্রশ্ন তুলে পিংকি এদিন জানতে চান, “আপনিই বলুন, তিন-চারদিন জ্বর, কাশি হলে কী করোনা হয়? এখন তো ঠিক আছে।” তবে গোটা ঘটনায় পুরকর্তাদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কারণ, শহরের এই মুহূর্তে সর্বাধিক করোনা প্রবণ এলাকা এই সাত নম্বর বরো, বিশেষ করে ৬৪, ৬৬ ওয়ার্ড।

Advertisement

[আরও পড়ুন : জ্বরে ভুগে আটদিনে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু, আতঙ্ক জোড়াবাগানে]

মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এদিন নবান্নে জানিয়েছেন, “রাজ্যে নতুন করোনো আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ জন। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায়।” স্বাস্থ্যভবনের তথ্য, ৩৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন রোগীই হলেন কলকাতার ২০টি ওয়ার্ডের। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার যে ৭ নম্বর বরো সর্বাধিক সংক্রমণ প্রবণ ছিল সেই এলাকাতে এদিনও নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এদিন সর্বাধিক চারজন রোগীর এসেছে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এছাড়াও ৫০, ৫৪,৫৬. ৫৭, ৬০, ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণের ৮০ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দরের সিআইএসএফ আবাসনে তিনজন কোভিড-১৯ (COVID-19) রোগী মিলেছে। এছাড়া উত্তর কলকাতার ১১, ১৭, ২২, ২০, ২৪, ৩৩, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রামিতকে বেলেঘাটা আইডি ও বাঙ্গুরে ভরতি করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন :পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিলীপ ঘোষ! উইকিপিডিয়ার তথ্যে বিভ্রান্তি তুঙ্গে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement