ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেড রোডে পুজো কার্নিভাল দেখে মুগ্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সপরিবারে বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখে তিনি এতটাই অভিভূত যে, অভিব্যক্তি চেপে রাখতে পারলেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধু বিপুল আয়োজনের জন্য ধন্যবাদই দেননি, সেইসঙ্গে ভূয়সী প্রশংসা করে নিজের মুগ্ধতার কথাও বললেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘অ্যামেজিং! হাউ ডু ইউ ম্যানেজ ইট?’ এই প্রশ্নের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘চমৎকার! কীভাবে গোটা ব্যাপারটা সামলান?’। যেখানে যাদবপুর কাণ্ড থেকে জিয়াগঞ্জ হত্যালীলা, একের পর এক ঘটনায় রাজ্য-রাজ্যভবনের সংঘাত শিরোনামে উঠে এসেছে, সেখানে রাজ্যপালের এমন সৌজন্য বিনিময় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
শুক্রবার বিকেল থেকে টানা চার ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর পাশের মঞ্চে বসে স্ত্রী, মেয়ে, নাতি, বেয়ান ও বেয়াইকে নিয়ে কার্নিভাল উপভোগ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে ভূষিত ৭০টিরও বেশি পুজো কমিটির দুর্গাপ্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জার আলো ধলমলে ট্যাবলো যখন রেড রোডের শোভাবর্ধন করছিল, তখন মুগ্ধ নয়নে তা উপভোগ করছিলেন রাজ্যপাল। পরে অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পর তাঁকে রাজ্যপাল বলেন, ‘চমৎকার! কীভাবে গোটা ব্যাপারটা সামলান?’ সেইসময় গত দুমাস ধরে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, সেই রেশ যেন উধাও রাজ্যপালের অভিব্যক্তিতে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে রেড রোড মেতে ওঠে পুজো কার্নিভালে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এবারের কার্নিভালটি সাজিয়েছিলেন বাংলার লোকসংস্কৃতির আদলে। তাই মঞ্চটি পুরোপুরি তৈরি হয়েছিল বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা স্থাপত্য দিয়ে। এবারের থিমের নামও তিনি রেখেছিলেন – রাঙামাটির বাংলা। লোকসংগীত ও লোকনৃত্য শিল্পীদের এবার বাড়তি কদর ছিল। প্রতিমা প্রদর্শনীকে আরও রঙিন করতে ছিল তাঁদের পারফরম্যান্স।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.