Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাম মন্দির-সবরীমালা নিয়ে রাজনীতি, দেশের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন অমর্ত্য

অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ-এর পাশে দাঁড়িয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

Amartya Sen slams intolerance
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 8, 2019 9:09 am
  • Updated:January 8, 2019 4:26 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরব হন তিনি। প্রশ্ন তোলেন মোদি সরকারের আর্থিক নীতি সম্পর্কেও। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন রবিবারই শহরে এসে প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সোমবারও দেশের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। এদিন এশিয়াটিক সোসাইটির এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, বিশ্বের বর্তমান ইস্যুগুলি ভারতের নির্বাচনের প্রাক্কাল কখনও উঠে আসে না। বরং বেশি আলোচিত হয় রাম মন্দির বা ঋতুমতী মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকারের মতো প্রসঙ্গ।

[বামেদের বনধে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ব্যাহত রেল পরিষেবা]

শুধু রাজনীতি নয়, দেশের সাম্প্রতিক শিক্ষার পরিবেশ নিয়েও তিনি যে সমান উদ্বিগ্ন, অমর্ত্যের এদিনের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। তাঁর কথায়, “দেশীয় পরম্পরার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। এবং তাঁর দাবি, তিনিও নাসিরুদ্দিনের মতো লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। প্রসঙ্গত, অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তৈরি ছবি ‘নালন্দা’ মুক্তি পায়নি। সে প্রসঙ্গ তুলে অমর্ত্য বলেন, প্রতিটি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তাঁকে বাধা দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু নালন্দা ছবিটি তো শিক্ষা বিষয়ক। তার সঙ্গে ধর্মের যোগ কোথায়?

Advertisement

উত্তরে অমর্ত্য বলেন, নালন্দার সঙ্গে ধর্মের যোগ আছে। এটি ভারতের একটি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া এটির সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মও জড়িত। যেভাবে নালন্দা পরিচালিত হওয়া উচিত, সেভাবে হচ্ছে না। ছাত্রের সংখ্যা কমছে। আগে বছরে একশো জন পড়ুয়া আসতেন। এখন তা কমতে কমতে কুড়ির কাছাকাছি। অমর্ত্য আঙুল তোলেন ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের দিকেও। জানিয়ে দেন, “ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস নিয়ে আমার আপত্তি এই যে, সেখানে বিদ্যার নামে যা হচ্ছে, তা বিজ্ঞান নয়।”

[হরতাল কি আদৌ সফল হবে? সংশয়ে বামেরা]

শিক্ষা প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের তোপ এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁর আক্ষেপ, “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষাকে কার্যত পণ্যে পরিণত করেছে। এক্ষেত্রে চিন এবং আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মন্তব্য, ওই দুই দেশে গেলে শিক্ষার এমন হাল দেখতে পাবেন না।” উল্লেখ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সরকারের চাপে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না–এ নিয়ে রবিবারই তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি অসহিষ্ণুতা নিয়েও উদ্বেগ ঝরে পড়েছিল তাঁর কথায়। জানিয়েছেন, “অন্য লোককে সহ্য করার ক্ষমতা না থাকাটা চিন্তাশক্তির অভাব। যা চলছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত।” এদিনও তাঁর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে সামাজিক সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে উদ্বেগ। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “পারস্পরিক ভেদাভেদে দূরত্ব আসে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement