ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পূর্বাভাস পেয়ে আগেভাগেই বাঘ, সিংহ, শিম্পাঞ্জিদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বাক্সবন্দি করে রাখা হয়েছে অ্যানাকোন্ডা আর তার সঙ্গীদের। লম্বা মাথা জিরাফের ঝড়ে প্রবল ভয়। নিজেরাই সপরিবার সকাল থেকে ঘরে ঢুকে বসে। কিন্তু হরিণ আর জেব্রাগুলোই যত চিন্তার কারণ। কিছুতেই তাদের ঘরে রাখা যাবে না।
এরই মধ্যে মাঝারি আকারের দু-একটা গাছ ভেঙে পড়েছে চত্বরে। দুশ্চিন্তায় বুধবার গোটা রাতটাই কাটাতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এমনিতেই কদিন ধরে একলা হওয়ায় স্বভাব বদলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানায় আবাসিকদের। শিম্পাঞ্জি বাবু শান্ত হয়ে গিয়েছিল। বাঘেরা আবার বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যেই রোজ নিয়ম করে দু’বেলা তাদের সঙ্গে ভুলছিলেন না অধিকর্তা আশীষ সামন্ত। চলছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তার মধ্যেই কদিন ধরে আমফান দাপটের পূর্বাভাস চিন্তা বাড়িয়েছিল। এদিন সকালে সকলকে নাইয়ে খাইয়ে তাই আগেই ঘরমুখো করে দেওয়া হয়।
অধিকর্তা বলছেন, “বাঘ, সিংহ, চিতা, জিরাফের নিয়ে চিন্তা নেই। ওরা যে যার ঘরেই আছে। কর্মীরাও তিনটি ভাগে একেকটি পয়েন্ট থেকে পাহারা দিচ্ছে। তাদের পক্ষেও সকলের ঘরে গিয়ে দেখা রাতে সম্ভব নয়। কিন্তু চিন্তায় রেখেছে হরিণ আর জেব্রা। ওদেরকে ঘরে ঢোকানো যায়নি।”
চিড়িয়াখানা চত্বরে যে গাছ পড়েছে সেগুলোর কী হবে? অধিকর্তা জানাচ্ছেন, সকালে বিপর্যয় থামলে বেরবে সবাই। সবটা দেখা হবে। তবে অবলা প্রাণীগুলো যে অবস্থায় রয়েছে তাতে চিন্তা রাতে কমবে না। রাতে একবার পরিস্থিতি দেখতে বেরোনোর কথা কর্মীদের। তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে সম্ভব হলে দ্রুত গিয়ে যদি পড়ে যাওয়া গাছগুলো কেটে সরিয়ে দেওয়া যায়। সেই ফাঁকেই একবার হরিণ আর জেব্রাগুলোকে দেখে আসবেন বলে জানিয়েছেন সামন্তবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.