ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি করে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। দোষীকে আড়াল করতে তথ্য-প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে, এই অভিযোগ অহরহ তুলেছেন বিরোধীরা। ততোধিকবার প্রশাসন তা খারিজ করেছে। জানিয়েছে, কাউকে আড়াল করা হচ্ছে না। তদন্ত এগোচ্ছে সঠিক পথেই। একজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। যদিও এই ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। তার পর থেকে নতুন করে কোনও গ্রেপ্তারি নেই। তবে তদন্তকারীদের হাতে আসা বেশ কিছু সূত্র ও তথ্য তুলে দিচ্ছে বিভিন্ন প্রশ্ন। সংশয় বাড়ছে তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়েও। সিবিআইয়ের হাতে আসা তথ্য থেকে ইঙ্গিত মিলছে, লাশকাটা ঘরই দুর্নীতির শিকড়!
তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার আর জি করের (RG Kar Hospital) মর্গে যান সিবিআই তদন্তকারীরা। তার আগে বুধবার রাতেই মর্গের সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। আর সেসব দেখেই চোখ আটকে যায় দুঁদে অফিসারদের। আর জি কর হাসপাতালের মর্গে মোট ৪২টি ফ্রিজার রয়েছে। প্রতিটির তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি থাকে না। সেখানেই সমস্ত মৃতদেহ (Dead bodies)রাখা হয়। কিন্তু অভিযোগ, মর্গকর্মীরা মৃতের পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে লাশ ছাড়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা নিতেন। এভাবেই সেখানে অসাধু চক্রের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছিল। এবং অভিযোগ, এই গোটা চক্রের পিছনে ফরেনসিক (Foresnsic) বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর ডাঃ দেবাশিস সোম। রবিবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই।
এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির উৎস। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, এই বিপুল টাকা কোথায় যেত, কারা ভাগ-বাটোয়ারা পেতেন অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ‘মানি ট্রেল’ নিয়ে তদন্ত শুরুর পথে সিবিআই। ২০২১ সাল থেকে মর্গের সমস্ত নথি এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। আর তাতেই সমস্ত দুর্নীতির শিকড় লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। হয়ত তরুণী চিকিৎসকের হত্যারহস্যের বড় কোনও ক্লু-ও পাওয়া যেতে পারে এসব নথি থেকে। এবার সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.