অভিরূপ দাস: বর্তমানে চিকিৎসা শুরুর আগে যে কোনও রোগীর করোনা পরীক্ষা (Covid test) বাধ্যতামূলক। স্রেফ এই কারণেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হল এক খুদেকে। টেস্ট করাতে দেরি হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে ১২ ঘণ্টা দগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকল শিশুটি।
অভিযোগ, ভরতি না নেওয়ায় বুধবার রাতভর কার্যত বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল চত্বরে পড়ে ছিল এক বছরের শিশুটি। এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হাসপাতালের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘করোনা পরীক্ষা করা আবশ্যিক। তবে চিকিৎসা পায়নি এটা ঠিক নয়। রাত থেকে ওই শিশুর সব রকম প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে শিশুটিকে বার্ন ওয়ার্ডে ভরতি করানো হয়েছে।’’
বেহালার (Behala) বাসিন্দা ওই একরত্তির নাম সোনিয়া ঘোষদস্তিদার। বুধবার সন্ধ্যায় রান্নাঘরে খেলা করতে করতে আচমকা গ্যাসে বসানো গরম জলে হাত দিয়ে ফেলে সে। সেই গরম জল ছিটকে লাগে তার মুখে। শরীরের প্রায় ১৮ শতাংশ পুড়ে যায়। এমন অবস্থায় প্রথমে তাকে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা চৈতালি ঘোষদস্তিদার। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুটিকে। অভিযোগ, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ শিশুটিকে নিয়ে তার অভিভাবকেরা এসএসকেএমে পৌঁছলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানতে চান, শিশুটির করোনা পরীক্ষা হয়েছে কি না। টেস্ট হয়নি জানার পরেই শিশুটিকে অ্যানেক্স বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চৈতালির অভিযোগ, ‘‘সেখানে কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। ভোর পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক এসে ওকে দেখে পর্যন্ত যাননি। সারা রাত মেয়েটা চিৎকার করে কেঁদেছে। গভীর রাতে কয়েক জন নার্স মেয়েকে স্যালাইন দেওয়ার চেষ্টা করেন।” রাত এভাবে কাটার পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ শিশুটির করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই বার্ন ওয়ার্ডে ভরতি নেওয়া হয় শিশুটিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.