Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

তহবিলে মন্ত্রী-বিধায়কদের দিতে হবে এক মাসের বেতন, করোনা মোকাবিলায় নির্দেশ তৃণমূলের

পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেও তহবিলে আর্থিক সাহায্য করেছেন।

All MLA and MP's have to give salary of one month in WB emergency fund
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 27, 2020 7:27 pm
  • Updated:April 6, 2020 5:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য সরকার। খোলা হয়েছে  ২০০ কোটি টাকার ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ড (West Bengal State Emergency Relief Fund)। এবার সেই তহবিলে দলীয় মন্ত্রী এবং বিধায়কদের এক মাসের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবারই একথা ঘোষণা করেন তিনি।

একজন বিধায়ক প্রতি মাসে ভাতা এবং বিভিন্ন কমিটির বৈঠক মিলিয়ে মোট ৮০ হাজার টাকা পান। মন্ত্রীরা পান আরও অনেক বেশি। এবার এক মাসের উপার্জিত টাকা ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিধায়ক ও মন্ত্রীরা তাঁদের এক মাসের বেতন ও অন্যান্য ভাতা কেটে নেওয়ার জন্য স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় লিখিতভাবে জানাবেন। সেই টাকা আপাতত বিধানসভার তৃণমূল পরিষদীয় দলের ফান্ডে জমা পড়বে। পরে তা মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি ২০০ কোটি টাকার ইমারজেন্সি ফান্ডে যাবে।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদেরও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে নির্ধারিতের তুলনায় বেশি টাকা দিতে চাইলেও তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূল যুব কংগ্রেস এই ফান্ডে ১ কোটি টাকা দেয়। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও অর্থ সাহায্য করেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং ২ লক্ষ এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম ৩ মাসের বেতন দেবেন বলে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: নিমপাতা-টকদই খান, করোনা থেকে বাঁচতে ডায়েট চার্ট বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]

করোনা রুখতে পথে নেমে লড়াই করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষেবা খতিয়ে দেখতে শহরের একাধিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে। বিলি করেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বৃহস্পতিবার পোস্তা-সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কোনওভাবে যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার কথাও বলেন তিনি। লক্ষ্মণরেখা কেটে দিয়ে বোঝান সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পন্থা। শুক্রবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকের পরই আলিপুরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রিকশাচালকদের হাতে তুলে দেন খাবার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement