দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাজ্যের স্কুলগুলি। এবার আমফানের তাণ্ডবের জেরে স্কুল খোলার নির্দিষ্ট দিন আরও পিছিয়ে গেল। আপাতত রাজ্যের স্কুলগুলি ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একথা ঘোষণা করেছেন। করোনা সংক্রমণ, ঘূর্ণিঝড়ের পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরে আসা বাড়ায় ছুটি বাড়ানো হল বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, করোনা সতর্কতায় ১০ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিন বিকাশ ভবনে পার্থবাবু বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার দরকার। সেই কাজে অনেক স্কুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তাতে আটটি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর স্কুল ভেঙে গিয়েছে। ছাদ উড়ে গিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের রান্নাঘরও অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত। অন্তত ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।” এ কথা জানিয়ে পার্থবাবুর আবেদন, কোনও সংস্থা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পুনর্গঠনে এগিয়ে আসেন স্বাগত।
রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছে উচ্চমাধ্যমিকের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা হবে ২৯ জুন এবং ২ ও ৬ জুলাই। ঘোষিত ওই তিন দিনেই পরীক্ষা হবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলায় ১০৫৮ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬২টি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কেন্দ্রগুলি বাতিল করে অন্য স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থবাবু আরও জানিয়েছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজেরা পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে দিন স্থির করেছিল সেই অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। এদিন তিনি স্কুল শিক্ষকদের কাছে আবেদন করেন, সম্ভব হলে করোনা সর্তকতা বাড়ির পাশে মেনে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.