নব্যেন্দু হাজরা: ফের সজল কাঞ্জিলালের স্মৃতি ফিরল মেট্রোয়। সকালের ব্যস্ত সময়ে রেকের দরজায় আটকে গেল এক যাত্রীর হাত। আরপিএফের তৎপরতায় কোনওমতে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে। আতঙ্কিত যাত্রীরা। এদিকে দুপুরে সেন্ট্রাল স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে মেট্রো চলাচলে।
ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ন’টা। নেতাজি ভবন স্টেশনে এসে পৌছায় এক মেট্রো। সকালের ব্যস্ত সময়ে ট্রেনে ভিড় ছিল যথেষ্টই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর যথারীতি নেতাজি ভবনের স্টেশন ছেড়ে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় মেট্রোটি। আচমকাই স্টেশনে কর্তব্যরত এক আরপিএফ কর্মীর নজরে পড়ে, চলন্ত মেট্রোর দরজার আটকে এক যাত্রীর হাত! এদিকে ততক্ষণে মেট্রোর সামনে দুটি কামরা টানেলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। তড়িঘড়ি ট্রেনটি থামান ওই আরপিএফ কর্মী। এরপর যাঁর হাত দরজায় আটকে গিয়েছিল, তিনি নিজেই হাতটি বের করে নেন। তবে ঘটনার সময়ে ওই যাত্রী অবশ্য মেট্রোর কামরার ভিতরেই ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর হাত যে দরজায় আটকে গিয়েছে, তা অন্য যাত্রীদেরই বা নজরে পড়ল না কেন? প্রশ্ন উঠেছে।
সপ্তাহ খানেক আগে মেট্রোর দরজায় হাত আটকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন কসবার সজল কাঞ্জিলাল। শেষপর্যন্ত থার্ড লাইনে পরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শহরে। গত ১৩ জুলাই সন্ধবেলায় পার্কস্ট্রিট স্টেশন থেকে নিউ গড়িয়াগামী মেট্রোয় উঠতে গিয়েছিলেন সজলবাবু। ঠিক তখনই মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যায় তাঁর। কিন্তু দরজা তো খোলেইনি, উলটে ওই অবস্থায় মেট্রোটি চালাতে শুরু করেন চালক। শেষপর্যন্ত চালক ব্রেক কষায় টানেলের ভিতরে পড়ে যান বছর ষাটের ওই প্রৌঢ়। থার্ড লাইনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। ঘটনার মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। খোদ সেফটি কমিশনার অফ রেলওয়ের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত চলছে। জোর করে মেট্রোয় ওঠার চেষ্টা করলে ১০০০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকী, জোর করে মেট্রোয় উঠতে গিয়ে ভিনরাজ্যের এক যুবককে জরিমানা দিতেও হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও ফের মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত যাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.