Advertisement
Advertisement

বিস্ফোরণ কাণ্ডে নয়া মোড়! দমদমেই ডেরা বেঁধেছিল আল কায়দার জঙ্গিরা

গত বছরই সতর্ক করেছিল পুলিশ৷

Al-Qaeda militants climbed in Dum Dum Explosion
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 3, 2018 12:05 pm
  • Updated:October 3, 2018 12:05 pm  

অর্ণব আইচ: দমদম থেকে কামারহাটি। এই বিস্তৃত জায়গায় ডেরা বাঁধার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা৷ এক বছর আগে সতর্ক করেছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তবু বিস্ফোরণ হল। এই বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য।

[মেডিক্যালে আগুন: অব্যবস্থায় ক্ষোভ রোগীর পরিজনদের, একমাসের ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা]

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি ‘লো ইনটেনসিটি ব্লাস্ট’ বা কম প্রাবল্যের বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত শিশুর মৃত্যু ছাড়াও আহত হয়েছেন বহু। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এর আগে অসম থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের কম প্রাবল্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। এক সময় লস্কর-ই-তৈবা ও পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় কম প্রাবল্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। দেখা গিয়েছে, তাতে কম সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলেও আহতের সংখ্যা বেশি। তার ফলে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। কাজিপাড়ার বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ‘কম প্রাবল্যে’র বিস্ফোরণ বলা হলেও বিস্ফোরণের ফলে শাটারের নিচে থাকা লোহার পাত ধনুকের মতো বেঁকে যায়। শাটারের পাশেই যেখানে বোমাটি রাখা ছিল, সেই জায়গাটি গর্ত হয়ে গিয়েছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরণের ফলে ভিতরের দিকে ঢুকে গিয়েছে শাটারের মোটা পাত। পাশের বাড়ির পাঁচতলার জানালার কাচও ভেঙে গিয়েছে কম্পনে।

Advertisement

[মেডিক্যাল কলেজে বিধ্বংসী আগুন, হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক আতঙ্ক]

গত বছর নভেম্বর মাসে এই দমদমেই ডেরা বেঁধেছিল বাংলাদেশের আল কায়দা তথা আনসার বাংলা টিমের (এবিটি)-র জঙ্গিরা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছিল আল কায়দা তথা এবিটি-র দুই জঙ্গি নেতা সামশাদ মিয়া ও রিয়াজুল ইসলাম। তখনই জেরার মুখে তারা গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছিল, দমদমের একটি জায়গায় ডেরা বেঁধেছিল তারা। দমদম থেকে কামারহাটি পর্যন্ত আরও অন্তত তিনটি ডেরার সন্ধান করেছিল এবিটির জঙ্গিরা৷ এমনকী সেই ডেরাগুলিতে বিস্ফোরক তৈরির ছক কষা হয়েছিল। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, গ্লিসারিন, পটাসিয়াম ক্লোরেট বা সালফারের যৌগ দিয়েই সেই বিস্ফোরক তৈরির ছক কষা হয়েছিল। জেরায় তারা জানায়, অতি সহজে যে জিনিসগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি দিয়েই তৈরি হত বিস্ফোরক। বাংলাদেশের জঙ্গিনেতা তুন্ডা এই ধরনের বিস্ফোরক প্রথম তৈরি করেছিল৷

[বাংলা হোক বা উর্দু, সবচেয়ে ভাল শিক্ষা দেন রাজ্যের শিক্ষকরাই: মুখ্যমন্ত্রী]

মঙ্গলবার দমদমের এই বিস্ফোরণ যে পাইপ দিয়ে তৈরি সকেট বোমাটির সাহায্যে ঘটানো হয়, তার মধ্যেও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, গ্লিসারিন ও চিনি থাকার সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। অন্যদিক থেকে দেখতে গেলে এটি এক ধরনের আইইডি। ডিটোনেটরের সন্ধান না মিললেও বোমাটি দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তার মাথার উপর একটি তার ছিল, যেটি ‘ট্রিগারিং’ করার জন্য ব্যবহার হয়। এই ধরনের বোমায় তারটি টানলে ‘ট্রিগারিং’ হয় ও ভিতরে তৈরি হওয়া আগুনের ফুলকি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, সালফার, গ্লিসারিন ও চিনির মধ্যে বিক্রিয়া করার ফলেই হয় বিস্ফোরণ।

[জন্মদিন সেলিব্রেট করা হল না বিভাসের, উঠল চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ]

এদিকে, পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের অদূরেই রয়েছে ভুটান দূতাবাস। এ ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাসের কয়েকজন কর্তাও ওই এলাকায় থাকেন বলে পুলিশের কাছে খবর। তাই কোনওভাবে এই এলাকাটি বিস্ফোরণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল কি না, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করার পর এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement