অর্ণব আইচ: রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভিআইপিদের উপর হামলার ছক কষছে ‘ভারতীয় আল কায়দা’। এমনকী, দেশের কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণের ছক কষেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি বলে খবর। সম্প্রতি ধৃত এক জেহাদির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পেনড্রাইভ থেকে মিলেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় আল কায়দার জঙ্গি মহম্মদ হাসনতের মালদহের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই পেনড্রাইভটি। মাসখানেক আগে ওই পেনড্রাইভ উদ্ধার হলেও তার ভিতর বহু তথ্য রীতিমতো কোড ওয়ার্ডে ছিল। সেই কোডগুলি সাধারণ ভাষায় ভেঙে সেগুলি থেকে আসল তথ্য উদ্ধার করেন গোযেন্দারা। এই ক্ষেত্রে ‘লোন উল্ফ অ্যাটাক’এর ছক তারা কষেছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবার এই ধরনের হামলা বা নাশকতার পর জঙ্গিরা বাংলাদেশে পালানোর রাস্তাও তৈরি করে রেখেছিল বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।
গত কয়েক মাসে চারজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata STF)। মঙ্গলবার তাদেরই এক সঙ্গী আজিজুল হককে কলকাতার উপকণ্ঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে জাল আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এর আগে বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিরা কলকাতা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আজিজুল জাল আধার কার্ড তৈরি করে রাতারাতি এই দেশের নাগরিক করে দিত। বুধবার পাঁচজনকেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে এসটিএফ।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পেনড্রাইভ থেকে জানা গিয়েছে যে, আল কায়দা (Al Qaeda) দেশের অন্তত এক ডজন ভিআইপিকে টার্গেট করেছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও। যদিও ওই নেতাদের নাম কোড ভাষায় লেখা রয়েছে। ফলে এই রাজ্যের কেউ আল কায়েদার টার্গেট তালিকায় রয়েছেন কি না, সেই তথ্য জানতে এসটিএফ তদন্ত চালাচ্ছে। এদিকে, উৎসবের মধ্যেই বিস্ফোরণের মতো নাশতকা ঘটানোর ছকও ভারতীয় আল কায়েদার জঙ্গিরা কষেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই তাদের মধ্যে কয়েকজন গা ঢাকা দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। আবার কয়েকজন ছিল উত্তরপ্রদেশ বা অসমেও। ভোপাল থেকে দুই জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কলকাতার গোয়েন্দারা বেশ কিছু তথ্যও পান। কলকাতা বা রাজ্যের কোথাও বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল কি না, সেই তথ্য জানতেও তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.