Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঐশী ঘোষ

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নো এন্ট্রি’ ঐশীর, বাইরে দাঁড়িয়েই CAA বিরোধী সভা বাম ছাত্রনেত্রীর

ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণেই কি বাধা? উঠছে প্রশ্ন।

Aishi Ghosh could get into CU campus for students protest
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 13, 2020 2:58 pm
  • Updated:February 13, 2020 3:18 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: প্রতিবাদের বিষয় এক। তবু প্রতিবাদীর রাজনৈতিক পরিচয় আলাদা বলে বক্তব্য রাখার অনুমতি মিলল না। ‘বহিরাগত’ চিহ্নিত করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় CAA-NRC’র বিরোধিতায় বাম ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষের সভা আটকে দেওয়া হল। এ নিয়ে প্রবল উত্তেজনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। প্রবল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন ঐশী ঘোষ নিজেই। তারপরও ঢুকতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেই সভা শুরু করে তিনি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা ও মিছিল করার কর্মসূচি ছিল এসএফআইয়ের। সেইমতো আজ এখানে এসেছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। সভার পর কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ঐশীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটই বন্ধ করে তাঁর প্রবেশ আটকে দেন পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরা হয়। ঐশী নিজে বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন যে CAA-NRC’র বিরোধিতায় সভা করবেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলা জরুরি। যখন প্রতিবাদের বিষয় এক, তাহলে কেন তাঁকে আটকানো হচ্ছে? এই প্রশ্ন তোলেন ছাত্রনেত্রী। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁর কথা মানতে রাজি হন না বিক্ষোভকারীরা। তখনই ঐশী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সুরে বলেন যে তাঁর যা বলার, তা তিনি বাইরে দাঁড়িয়েই  তাঁর যা বলার, বলবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঘরজুড়ে শুধু সাপ আর সাপ! ফ্ল্যাট কিনে পালালেন বেহালার দম্পতি]

বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই সভা শুরু করেন জেএনইউয়ের সভানেত্রী। বলেন, “এই মুহূর্তে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগাভাগির চক্রান্ত চলছে। আরএসএস-বিজেপির এই প্ররোচনায় কেউ যাতে পা না দেন, তার জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেই গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ।”  ছাত্রছাত্রীদের কাঠছে সেই আহ্বানই তিনি জানিয়েছেন। ঐশী বলেন, “বাংলাকে আগেও ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হতে দিইনি, আজও দেব না। বিরোধী কথা বললেই ‘দেশবিরোধী’ তকমা দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে প্রতিবাদে নামতে হবে। দেশবিরোধী কে, তা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চালাচ্ছি, চালিয়ে যাব। ওদের বুঝিয়ে দেব আন্দোলনের জোর।”

[আরও পড়ুন: কসবায় প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলার উপর অ্যাসিড হামলা, ধৃত পুলিশ হেফাজতে]

পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রের ছাত্রবিরোধী পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে সচেতন করে দেন ঐশী। কোনও ব্যক্তি আক্রমণ নয়, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে, তার প্রতিবাদ স্বরূপ সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে সভায় ইতি টানেন জেএনইউয়ের সভানেত্রী। তাঁর সভার বিরোধিতায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা একজোট হলেও, সমর্থনেও কম মানুষ পাশে দাঁড়াননি। তাঁরা সকলে মিলে ঐশীকে ঘিরে স্লোগান তোলেন। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ছাত্র আন্দোলনের পীঠস্থানে এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষের সভা আটকে দেওয়া মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বাম নেতৃত্ব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement