ফাইল ফটো
অভিরূপ দাস: সরু একচিলতে গলি। সেপটিক ট্যাংক (Septic Tank) পরিষ্কার করার গাড়ি ঢুকতে পারে না। কিংবা বড় রাস্তা থেকে এতটাই ভিতরে যে পাইপ পৌঁছচ্ছে না। জমা মলমূত্র পরিষ্কার করতে গিয়ে মাথায় হাত! তেমনটা আর হবে না। নয়া দ্রব্য সেপটিক ট্যাংক ফেলে দিলেই কাম তামাম। উবে যাবে মল-মূত্র। গন্ধ থাকবে না ছিটেফোঁটা। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) নয়া পাইলট প্রোজেক্ট এমনই। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের এক সংস্থা প্রাথমিক বৈঠক সেরে গিয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সঙ্গে। শিগগিরি শুরু হবে প্রোজেক্টের কাজ।
নতুন এই ‘অ্যারোবায়ো সলিউশন’-এর দিকে তাকিয়ে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অগুনতি মানুষ। কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্তর কথায়, ‘‘যে সমস্ত বস্তি অঞ্চলে রাস্তা প্রশস্ত নয়। এক একটি কাঁচা ঘরে একসঙ্গে অনেকে থাকে। স্বল্প পরিসরে সে সব জায়গায় পরিষ্কার করার গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হওয়ায়, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা মুশকিল হচ্ছে।’’ তার জন্যেই ব্যাকটিরিয়া দিয়ে তৈরি এই অ্যারোবায়ো সলিউশন।
বহরে বাড়ছে কলকাতা। সংযোজিত এলাকায় মাথা তুলছে একের পর এক ফ্ল্যাট। সে সমস্ত পেল্লায় আবাসনে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার বাসিন্দার বাস। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, এই সমস্ত আবাসনের কথা ভেবে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার লিটারের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার গাড়ি কেনা হয়েছে।
পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে রয়েছে এমন পাঁচটি গাড়ি। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার কাছে রয়েছে আটটা। শুধু তাই নয়, কেনা হয়েছে ছোট গাড়িও। ৫০০ লিটার বর্জ্য বহন করতে পারে এমন গাড়ি রয়েছে তিনটি। এগুলো মাত্র আট ফুট চওড়া রাস্তাতেও প্রবেশ করতে পারবে। সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করেছে পুরসভা। ১ হাজার লিটার পর্যন্ত ময়লা পরিষ্কার করতে গেলে প্রতি ট্রিপে দিতে হবে সাড়ে পাঁচশো টাকা। ১ হাজার থেকে ৪ হাজার লিটার পর্যন্ত সেপটিক ট্যাঙ্কের মলমূত্র পরিষ্কার করার খরচ ট্রিপ পিছু ১৩৫০ টাকা। ১২০ ফুট দূরত্ব থেকে সেপটিক ট্যাঙ্কের ময়লা টেনে নিতে পারবে পুরসভার নতুন গাড়ি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.