ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: আহিরীটোলা কাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক হাড়হিম করা তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, পিসিশাশুড়িকে খুনের পর নাকি মা আরতি ঘোষকে নিয়ে বউবাজারে গিয়েছিল ‘খুনি’ ফাল্গুনী। ৫০ হাজার টাকার গয়নার অর্ডারও দিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, মৃত সুমিতাদেবীর টাকাতেই এই গয়না অর্ডার করেছিল ফাল্গুনী।
আহিরীটোলা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই জানা গিয়েছে, ‘খুনি’ ফাল্গুনী ঘোষ বরারবরই অপরাধমনস্ক। পিসিশাশুড়িকে খুন ও দেহ টুকরো করার পরও একেবারে নির্লিপ্তই ছিল সে। মাকে নিয়ে বেরিয়েছিল জায়গা খুঁজতে, কোথায় দেহ ফেলা যায়। মৃতার এটিএম থেকে টাকাও তুলেছিল। এবার প্রকাশ্যে নয়া তথ্য। জানা যাচ্ছে, পিসিশাশুড়ি সুমিতার দেহ বাড়িতে ফেলে রেখে বউবাজারের সোনার দোকানে গিয়েছিলেন। একটি দোকানে ২৫ হাজার টাকা আগাম দিয়ে সোনার গয়না অর্ডার করে। ৫০ হাজার টাকার গয়নার একটি স্লিপও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর পর বাগবাজারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। সোমবারই তারা দু’জন মিলে গঙ্গার ধারে গিয়ে রেইকি করে। কীভাবে গঙ্গায় ফেলা হবে দেহ, গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়েই তার ছক কষে মা ও মেয়ে। রাতে বাড়ি ফিরে দেখে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। তখন সুগন্ধি স্প্রে করে তারা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে ট্রলি ব্যাগে করে পিসি শাশুড়ির তিন টুকরো দেহ গঙ্গায় ফেলতে গিয়েই কুমোরটুলি ঘাট থেকে গ্রেপ্তার হয় মধ্যমগ্রামের দুই বাসিন্দা ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি। বুধবার মা আরতি ও মেয়ে ফাল্গুনীকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাঁদের একদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। যেহেতু খুনের ঘটনাস্থল মধ্যমগ্রাম, তাই আদালতের নির্দেশ, এই মামলার যাবতীয় নথি ও কেস ডায়েরি উত্তর বন্দর থানাকে তুলে দিতে হবে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশের হাতে। বৃহস্পতিবার মা ও মেয়েকে বারাসত আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.