রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: যাদবপুরের মতো রাজনৈতিকভাবে কঠিন কেন্দ্র৷ সেখান থেকেই তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী৷ মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রায় নিশ্চিত, এই কেন্দ্রে মিমির জয় নিশ্চিত৷ দিল্লির দরবারে জনপ্রতিনিধি হিসেবে হয়তো মিমিকেই চাইবেন যাদবপুরের সাধারণ নাগরিকরা৷ কিন্তু একটা রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই তো নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে তৃণমূলের নতুন এই প্রার্থীকে৷ সেখানেই উঠছে হাজার জল্পনা৷ রাজনৈতিক লড়াইয়ে মিমির বিরুদ্ধে নামছেন কে বা কারা? এই প্রশ্ন নিয়েও চলছে গুঞ্জন৷
মিমি চক্রবর্তীকে বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মনে করে তাঁর বিরোধিতায় তারকা প্রার্থীকেই দাঁড় করাতে চায় বিজেপি৷ দলের অন্দরে অন্তত তেমনই খবর৷ তাহলে কি রাজনীতিতে কিছুটা অভিজ্ঞ, দলের কাজে দক্ষ, রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়? প্রাথমিকভাবে এই নামটিই উঠে এসেছিল৷ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ই একমাত্র মিমিকে কিছুটা কঠিন লড়াইয়ে ফেলতে পারে৷ কিন্তু সময় কিছুটা যেতেই হাওয়া বদল৷ শোনা যাচ্ছে নতুন নাম৷ শুক্রবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায় ইঙ্গিত, যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে দলের তরফে৷ আরও কয়েকজন সেলিব্রিটির সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷
পেশায় সরাসরি অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত না হলেও, ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বেশ নামী অগ্নিমিত্রা পল৷ জনতার দরবারে বেশ খ্যাতিও রয়েছে তাঁর৷ বহু সিনেমা এবং রুপোলি জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পোশাকের দায়িত্ব থাকে অগ্নিমিত্রার উপর৷ জাতীয় স্তরেও তাঁর বেশ নামডাক আছে৷ সবমিলিয়ে, বেশ আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল৷ সুতরাং, মিমির জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা রেখেই বোধহয় এই চমকের কথা ভেবেছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ তবে রাজনীতির ধারেকাছে এতদিন একেবারেই দেখা যায়নি অগ্নিমিত্রাকে৷ তাই বিজেপি-র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, নবাগতাই হবেন তিনি৷ গ্ল্যামার কিংবা জনপ্রিয়তায় মিমি নাকি অগ্নিমিত্রা- কে, কাকে টেক্কা দেবেন, তা বোঝা যাবে সবটা চূড়ান্ত হওয়ার পরই৷
মিমি, নূসরতের প্রার্থী হওয়া ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কুরুচিকর পোস্ট তৈরি হচ্ছে, তা নিয়েও এদিন নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন দিলীপ ঘোষ৷ আরও বিতর্ক উসকে তাঁর মন্তব্য, ‘আমার,আপনার সম্পর্কে এধরনের আলোচনা তো হয় না৷ যার যেমন চরিত্র, তাকে নিয়ে তেমনই আলোচনা হয়৷ যে কেন্দ্র থেকে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, সুগত বসুরা লড়াই করেছেন, সেই জায়গায় কি না প্রার্থী মিমি৷ উনি কি রাজনীতির মুখ না তৃণমূলের মুখ!’ কিছুটা প্রতিশোধস্পৃহ হয়ে দিলীপ ঘোষের আরও মন্তব্য, ‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন তাঁদের নিয়েই এমন কুরুচিকর আলোচনা হয়েছিল৷’ দিলীপ ঘোষ যাই-ই বলুন, ৪২টি কেন্দ্রে তৃণমূলের সমকক্ষ প্রার্থী দেওয়া বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয়, তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.