সুব্রত বিশ্বাস: এবার করোনা আক্রান্ত পূর্ব রেলের (Eastern Railway) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্তা। তিনি একা নন। আক্রান্ত পুরো পরিবার, এমনকী, সংক্রমিত শ্বশুর-শাশুড়িও। আক্রান্ত এজিএম (AGM) সঞ্জয় সিং গেহলট, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভরতি। শ্বশুর ও শাশুড়ি রেলকর্মী না হওয়ায় বি আর সিং হাসপাতাল থেকে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ির কোভিড আক্রান্ত হন। দিন তিনেক আগে আক্রান্ত হন সঞ্জয়বাবু, স্ত্রী ও পুত্র। এজিএমের গাড়ির চালক, আরদালি, বাংলো পিওন সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। ফেয়ারলি প্লেসের অফিস স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
রেলকর্মীদের মধ্যে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছাড়ানোর জন্য কাজের পরিকাঠামোকে দায়ী করেছেন রেলকর্মীরা। বেশ কিছু দপ্তর, ওয়ার্কশপ, লাইনের কাজে যুক্ত কর্মীদের ১০০ শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। কর্মীদের অভিযোগ, লিখিত নির্দেশ ছাড়াই মৌখিকভাবে কাজে আসার নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। ফলে কোনও রেকর্ড বা রেখেই কাজ করানো হচ্ছে। মৃত্যু হলে কোনওরকম দায়বদ্ধতা যাতে নিতে না হয়, তাই এই প্রক্রিয়া। এ নিয়ে কর্মী সংগঠন আন্দোলন করলেও কোনও ফল হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিচ্ছে, কাজে না এলে অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কাটা হবে। এই ভয়ে উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকছে। সংক্রমণ বাড়ছে। মারাও গিয়েছেন অনেক রেলকর্মী। আক্রান্তের মধ্যে অনেকে আধিকারিকও রয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ কর্তার সংক্রমণ বুঝিয়ে দিচ্ছে সতর্ক বা হলে সমূহ বিপদ। এদিকে, বি আর সিং হাসপাতালকে করোনার তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল তৈরির কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় চিকিৎসা শুরু করা যায়নি। বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ এখনও অসমাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। গত বুধবার চিকিৎসা শুরুর কথা ছিল। দশটি ক্রিটিক্যাল বেড ও কুড়িটি আইসলেশন বেড নিয়ে শুরু হবে কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.