রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের ‘মারের বদলা মারে’র হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একের পর এক রাজ্যে নতুন প্রকল্প শুরু প্রসঙ্গে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। দাবি করলেন, রাজ্য সবটাই করছে প্রচারের জন্য। হুমকি দিলেন বিধানসভায় অনাস্থা আনার।
মঙ্গলবার সকালে যাদবপুরের সুলেখা মোড় থেকে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে তুলোধনা করেন মেদিনীপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী গতকালই ঘোষণা করেছিলেন চোখের আলো প্রকল্পের কথা। জানিয়েছিলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২০ লক্ষ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ছানি অপারেশন করাবে রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে আট লক্ষের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের কোনও প্রকল্পের সুবিধাই কেউ পায় না। এসব ভোটের আগে পাবলিসিটির জন্য ঘোষণা করা। মানুষ জানে তাঁরা কিছুই পাবে না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের এত প্রচার। কতজন পেয়েছে?” এরপরই কিষান নিধি প্রকল্প নিয়ে রাজ্যকে একহাত নেন বিজেপি সাংসদ। বিদ্রুপের সুরে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কারণেই রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছেন এতদিন। এবার রাজ্য তথ্য যাচাই করবে বলেছে। আমার সন্দেহ, সেখানে আদৌ আসল কৃষকদের নাম থাকবে নাকি তৃণমূল নেতাদের!”
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতাদের উপর হামলার বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন দিলীপ। বলেন, “মারের বদলা মার দেওয়া হবে। যার যেরকম ট্রিটমেন্ট লাগবে তাকে তেমনটাই দেওয়া হবে। এত অত্যাচার কিছুতেই সহ্য করা হবে না।” এদিন সাংসদ বলেন, “বাম ও কংগ্রেস ধমকি দিয়েছে বিধানসভায় অনাস্থা আনবে। আমাদের কাছে ভাল সংখ্যায় বিধায়ক রয়েছে, আমরাও অনাস্থা আনতে পারি। তাহলে মে পর্যন্ত সরকারই থাকবে না।” গতকাল কলকাতায় মেগা মিছিল হওয়ার কথা ছিল বিজেপির। যার মূল আকর্ষণ ছিলেন শোভন-বৈশাখী। কিন্তু শেষমেষ তাঁদের দেখা যায়নি মিছিলে। কিন্তু কেন? এবিষয়ে প্রশ্ন করতেই সাবধানী দিলীপ বিষয়টি জানা নেই বলেই দায় এড়ালেন। উল্লেখ্য, অনাস্থা প্রসঙ্গে দিলীপকে বিঁধে তৃণমূস সাংসদ সৌগত বলেন, “দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারির কী মূল্য আছে! উনি কোনও নিয়ম জানেন না। অনাস্থা আনতে হলে দশ ভাগের এক ভাগ বিধায়কের সমর্থন থাকতে হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.