Advertisement
Advertisement
দমদম

বন্দিদের সংঘর্ষে ফের উত্তাল দমদম সেন্ট্রাল জেল, চলল গুলি

এদিন মহিলা বন্দিদের উপর হামলা চালায় পুরুষ বন্দিরা।

Again clash broke out in Dumdum central jail on sunday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 23, 2020 10:08 am
  • Updated:March 23, 2020 10:08 am  

অর্ণব আইচ: রবিবারও বন্দিদের সংঘর্ষের জেরে উত্তাল হয়ে উঠল দমদম সেন্ট্রাল জেল। শনিবারের মতো এদিনও জেলের ভিতর অগ্নিসংযোগ করা হয়। চলে গুলি। পুরুষ বন্দিদের আক্রমণে আহত গহ তাদের আক্রমণে আহত কয়েকজন মহিলা কারারক্ষী। গুলি লাগে দুই পুরুষ বন্দির পায়ে ও দুই মহিলা বন্দির শরীরে। শনিবারের ঘটনার তদন্ত চলাকালীন ফের অশান্তিতে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। 

সূত্রের খবর, শনিবারের সংঘর্ষে যে ৪ জনের মৃত্যু হয়ছে তাদের দু’জনের মুখে এতটাই আঘাত লেগেছে যে, তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সিআইডির টিম তদন্ত শুরু করেছে। আভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে কারা দপ্তর।  শনিবার পরিস্থিতি শান্ত হতেই রাত একটার পর ওয়ার্ডে ঢোকানো সম্ভব হয় বন্দিদের। রাতে জেলে কোনও রান্না হয়নি। অনেকেই মুড়ি খেয়ে কাটায়। রবিবার সকাল থেকে নতুন করে গোলমাল শুরু হয়। করোনা আতঙ্কে প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে, এই দাবিতে এদিন ২০ নম্বরের কাছে অনশন শুরু করে বিচারাধীন বন্দিরা। শনিবারে কারারক্ষীদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে গোলমাল চলছিল। কারারক্ষীদের তরফ থেকে বন্দিদের খাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে বন্দিরা রাজি না হওয়ায় খাবারের হাঁড়ি ও কড়াই কয়েকজন কারারক্ষী উলটে দেন বলে অভিযোগ। এর পরই নতুন করে গোলমাল বাঁধে। বন্দিরা ইট ছুড়তে শুরু করে। তৈরি ছিল পুলিশও। পুলিশের টিম এদিন তাড়াতাড়ি ভিতরে ঢুকে বন্দিদের বাধা দেয়। ততক্ষণে শনিবারের আদলেই দু’নম্বর ঘরের কাছে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন বন্দি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দমকলের গাড়ি ভিতরে যায়। পুলিশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে বের করে নিয়ে আসে। শুরু হয় ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা, সমস্ত সাংসদকে নিজের কেন্দ্রে ফেরার নির্দেশ মমতার]

এর মধ্যেই কিছু বন্দি চলে যায় দমদম জেলের মহিলা ওয়ার্ডে। মহিলা ওয়ার্ডের বাইরে পাহারায় থাকেন মহিলা রক্ষীরা। অভিযোগ, বেশ কিছু পুরুষ বন্দি হাসপাতাল থেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশা করেই ঢুকে পড়ে মহিলা ওয়ার্ডে। সেখানে তিন মহিলা রক্ষীকে মারধর করে তাঁদের হার ছিনতাই করা হয়.বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের একাংশ মহিলা বন্দিদের সঙ্গে অভব্যতা করেছিল, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে তারা অন্য মহিলা বন্দিদের প্ররোচনা দেয়, এমনও খবর পেয়েছে পুলিশ। যার জেরে মহিলা বন্দিদের একটি অংশও আন্দোলনে সামিল হয়। এডিজি (কারা) পীযূষ পান্ডে, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ও অন্য পুলিশকর্তারা জেলের ভিতর যান। কাঁদানে গ্যাস ফাটানো হয়। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। দুই মহিলা বন্দি-সহ চারজন আহত হন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে মহিলা ওয়ার্ডে তাণ্ডব চালায় নেশাতুর পুরুষ বন্দিরা। 

[আরও পড়ুন: লন্ডন ফেরত তরুণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার শাস্তি, বাবা-মা ও পরিচারিকাও করোনা আক্রান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement