ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: পূর্ব ভারতে থেরাপির জন্য প্রথম প্লাজমাদাতা হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছিলেন হাবড়ার মেয়ে মনামী বিশ্বাস। হাবড়ার পড়ুয়ার পর এবার রাজ্যের দ্বিতীয় প্লাজমাদাতা হিসেবে নজির গড়লেন সোমনাথ দাস।
পূর্তদপ্তরের সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান সোমনাথবাবু নোভেল করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত ১৩ এপ্রিল জানা যায়, তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ১৪ দিনের লড়াই শেষে করোনা মুক্ত হয়ে ওঠেন তিনি। ২৭ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। অদৃশ্য ভাইরাসের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার সময়ই ঠিক করেছিলেন, নিজে সুস্থ হয়ে উঠলে এই রোগ থেকে অন্যদের বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। সোমনাথবাবুর কথায়, “হাসপাতালের বেডে শুয়েই ভেবেছিলাম, করোনা মুক্ত হওয়ার পরই প্লাজমা দেব। যাতে অন্য কোনও করোনা আক্রান্তের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
শুক্রবার তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল। এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে প্লাজমা দান করেন সোমনাথ দাস। বিরাটির বাসিন্দা বলছিলেন, “আমার প্লাজমায় যদি কারও জীবন বাঁচে ক্ষতি কী! মানুষের সেবার সুযোগ পেয়েছি বলে ভালই লাগছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে এই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই কোভিডজয়ী মনামীর প্লাজমা বা রক্তরস বের করে সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছিল মেডিক্যালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ। মনামীর শরীর থেকে প্লাজমা থেরোসিস পদ্ধতিতে রক্তরস সংগ্রহ করেছিলেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রসূণ ভট্টাচার্য। প্রসূণবাবু জানিয়েছিলেন, মোটামুটি দশ-বারো পাউচ প্লাজমা হলেই সংকটজনক কোভিড রোগীদের জন্য এই প্লাজমা থেরাপি শুরু করা হবে। সুতরাং মনামীর মতো আরও অনেক প্লাজমাদাতা চাই। সোমনাথবাবুও এগিয়ে আসায় আশার আলো দেখছে চিকিৎসা জগৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.