Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেট্রো

রেকের আকাল, ঝুঁকি নিয়েই ফের পাতালপথে ছোটা শুরু করল ‘মেধা’

যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন।

After accident Medha reck starts plying in Kolkata again

ফাইল ছবি

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 19, 2019 8:45 am
  • Updated:July 19, 2019 8:45 am  

নব্যেন্দু হাজরা:  রেকের আকাল। তাই যাত্রী নিরাপত্তা শিকেয় তুলে ঝুঁকি নিয়েই ফের চলল মেধা রেক। মাত্র দু’দিন বসিয়ে রাখার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের যাত্রী নিয়ে চলা শুরু কর আইসিএফ থেকে আসা নয়া এই ট্রেন। গত শনিবার পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে দুর্ঘটনার পরই এই মেধা রেকে যাত্রী নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই বন্ধ রাখা হয়েছিল ঘাতক রেক-সহ তিনটি মেধা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের তা নামতে দেখা গেল। তবে যে রেকে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাকি দুটি রেক নামানো নিয়ে মেট্রোর অন্দরেই ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মেট্রোরই একাংশের বক্তব্য, ট্রেনে ওঠার সময় কোনও কারণে দরজা আটকে গেলে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, এমনকী হাজতবাসেরও নিদান দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ট্রেন ফের নামানোর অর্থ কী! মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, রেক পরীক্ষা করেই নামানো হচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই। 

[আরও পড়ুন: মেট্রোয় জোর করে ওঠার চেষ্টা, প্রথমবার জরিমানা ভিনরাজ্যের যাত্রীর]

মাস ছয়েক আগে যাত্রী নিয়ে ছুটতে শুরু করা মেট্রোর এই অত্যাধুনিক রেকগুলিকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) থেকে মোট পাঁচটি মেধা আনা হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর জন্য। নানা ত্রুটি ধরা পড়ায় দুটি’কে অনেকদিন আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাকি তিনটির মধ্যে দু’টি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চালানো হচ্ছিল। কিন্তু শনিবারের উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সবগুলিরই ঠাঁই হয়েছিল নোয়াপাড়া কারশেডে। নতুন করে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই সেগুলির চাকা ফের গড়াতে পারে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু ট্রিপের সংখ্যা ঠিক রাখতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফের ঘাতক রেকটিকে বাদ রেখে বাকি দুটি নামিয়ে দেওয়া হল। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সমস্ত কিছু যাচাই করে দেখা হচ্ছে, যাতে যাত্রী সুরক্ষায় এক চুলও ফাঁক না থাকে।

Advertisement

গত শনিবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে মেধা রেকের দরজায় হাত আটকে গিয়েছিল এক যাত্রীর। সেই অবস্থায় ট্রেন চলতে শুরু করে। সুড়ঙ্গের ভিতর লাইনে পড়ে সজল কাঞ্জিলাল নামে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তোলপাড় হয়ে যায় দেশ। প্রশ্ন ওঠে, এই রেকের নিরাপত্তা, দরজা-সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে। রেল বোর্ডের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি অফিসার রেকটিকে খুঁটিয়ে দেখেন। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ররা। রেকের সিসিটিভি, মনিটরের কাজ, ডোর ফ্রেমিং সিস্টেম-সহ যাবতীয় খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন।

[ আরও পড়ুন: ওটিতে সুর-চিকিৎসা! বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাগুইআটির অর্থোপেডিক সার্জন সুমন্ত ঠাকুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement