ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: বসিরহাট কোর্টের সরকারি আইনজীবী জামিন মামলায় হাজির না থাকার কারণ দর্শে হলফনামা দিলেন হাইকোর্টে। বসিরহাট কোর্টের এজলাসের মধ্যে হইচই হয়েছিল। বিচারক কাজে বাধা পান বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও সব্বার রশিদির ভিডিশন বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। ডিভিশন বেঞ্চ বসিরহাট আদালতের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। কেন সরকারি আইনজীবী হাজির ছিলেন না? সেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সেই হলফনামা জমা দেওয়া হয়।
শুনানি চলাকালীন এদিনও একাধিক প্রশ্ন তুলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযুক্তরা কতটা প্রভাবশালী, যে সাইট প্ল্যান জমা দেননি? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। আগামিকাল বুধবারের মধ্যে সেই সাইট প্ল্যান জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন শুনানির সময় হাই কোর্টের আইনজীবী জানান, ২০১২ সালে একইভাবে সেখানে কোর্টরুমে হল্লা হয়েছিল। বিচারকের সামনে হাজির করা ৬৩ জন বন্দিকে ছাড়িয়ে দিয়ে এজলাস ফাঁকা করা হয়। কর্মবিরতির মধ্যে আদালতে কাজ হচ্ছিল বলে এমন করা হয়! সেই কথা শোনার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “এটা তো অবিশ্বাস্য! এরা তো সব পারে। যারা ৬৩ জন ক্রিমিনাল কেসের ধৃতকে জজের সামনে থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে এজলাস ফাঁকা করতে পারে, তারা সব পারে। তাদের কোনও বক্তব্য আর থাকতে পারে বলে মনে করি না।” তিনি আরও বলেন, “এরা গায়ে কালো কোট চাপালেও, এরা এই পেশার লোক হতে পারে না। এখনই এফআইআর করে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরার নির্দেশ দেব। এদের কোনওভাবে ক্ষমার কোনও জায়গা নেই।”
আইনজীবী আরও বলেন, “এবার যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের মধ্যে ৬জন সেসময়ের অভিযুক্ত। এবার সেই ৬ জন হাইকোর্টের নির্দেশে হলফনামা দিয়ে সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সেখানে আইনজীবীদের বসার জায়গা করতে একটা নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করেন, “সেই নির্মাণের সাইট প্ল্যান কোথায়?” রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, “আমাদের কাছে নেই।” এরপরই বিচারপতি বলেন, “এতটা প্রভাবশালী যে তারা সাইট প্ল্যান করতে দেয়নি? কালকের মধ্যে সাইট প্ল্যান চাই।”
এই নির্দেশের পরই এদিনের শুনানি স্থগিত করে দেয় বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.