ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: বাচ্চাদের স্কুল তৈরি করার স্বপ্ন ছিল মহিলার। চেয়েছিলেন সেই স্কুলে শিশুরা নিজেদের মতো খেলবে, পড়বে। তাঁকে ‘সাহায্য’ করতে এগিয়ে আসেন পাটনার এক ব্যবসায়ী। একটি নামী স্কুলের ‘জুনিয়র’ শাখা খোলার নাম করেই মহিলার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও তিনি। কুন্দন কুমার নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহিলা দক্ষিণ কলকাতার কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধর্মতলা রোডের বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে কয়েক মাস আগেই পরিচয় হয় কুন্দন কুমার নামে ওই ব্যক্তির। বিহারের পাটনার বাসিন্দা তিনি। কুন্দন নামী ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। জানান, দক্ষিণ কলকাতার রাজডাঙা মেন রোডে রয়েছে তাঁর অফিস। কুন্দন মহিলার কাছে নিজেকে একটি ‘এডুকেশন ট্রাস্ট’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলে পরিচয় দেন। মহিলা কুন্দনকে বলেন, তিনি একটি স্কুল তৈরি করতে ইচ্ছুক। কিন্তু বড় একটি স্কুল তৈরি করতে যে অনেক টাকার প্রয়োজন। কুন্দন তাঁকে ভাবতে বারণ করেন। বলেন, তিনি একটি নামি ব্র্যান্ডের স্কুলের জুনিয়র সেকশন তৈরি করতে চলেছেন। সেই স্কুলটি কসবায় রয়েছে। সেই স্কুলের নামে ‘জুনিয়র স্কুল’ তৈরি হলে বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীও পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই স্কুলের কাজ শুরুর জন্য টাকার প্রয়োজন। কুন্দনকে বিশ্বাস করে মহিলা কয়েক মাস আগে তাঁর হাতে ৯ লাখ টাকা দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর কুন্দন যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কয়েক মাস পরে কোনওক্রমে কুন্দনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এবং তাঁকে স্কুল তৈরির জন্য চাপ দেন। ওই ব্যবসায়ী জানান স্কুলের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু মহিলা কিছুদিন পরেই বুঝতে পারেন স্কুলের কাজে কোনও অগ্রগতি নেই। এরপরই কুন্দনের কাছে টাকা ফেরত চান তিনি। কিন্তু সেই টাকা ফেরত না দিয়ে পাটনা রওনা দেন ওই ব্যবসায়ী। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ধর্মতলার ওই মহিলা।
এদিকে, অন্য একটি ঘটনায় ঋণের মাসিক টাকা তোলার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা তুলে উধাও হল এজেন্ট। এই বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.