Advertisement
Advertisement
Chhath Puja Adhir Ranjan Chowdhury Mamata Banerjee

‘বিহারীদের ভোটের জন্যই রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর আরজি’, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ অধীরের

'এটা ছটপুজো নয় ভোট পুজো', কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।

Adhir Ranjan Chowdhury slams Mamata Banerjee on Chhath Puja issue ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 18, 2020 12:00 pm
  • Updated:September 18, 2020 12:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্র সরোবরে শর্তসাপেক্ষে ছটপুজো  করতে দেওয়ার আরজি জানিয়েছিল KMDA। যদিও সেই আরজি খারিজ করে দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালত। কিন্তু সেই মামলা নিয়েই বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শুধুমাত্র ভোটবাক্সকে মজবুত করতেই পরিবেশ আদালতে এমন আরজি জানানো হয়েছিল বলেই খোঁচা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরির (Adhir Ranjan Chowdhury)।

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিহারীরা ছাড়াও লক্ষ লক্ষ বাঙালি ছটপুজো করেন। তাঁরা কি কেউ আপনাকে বলেছেন রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) ছটপুজোর ভাসান না হলে আমরা আপনাকে ভোট দেব না? কেউ আপনাকে বলেননি। সবেতে আগ বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া আপনার অভ্যাস। যেমন বাংলায় কোনও মুসলমান ভাইবোন আপনাকে বলেননি দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ করে দিয়ে মহরমের মিছিল করতে দেওয়া হোক। আপনি তা সত্ত্বেও করেছিলেন। সেটা ছিল সংখ্যালঘু ভোট হাতানোর চেষ্টা। এখন ছটপুজোর নামে বিহারীদের ভোট নিতে চাইছেন। আসলে এটা ছটপুজো নয়, ভোট পুজো।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: নাম ভাঁড়িয়ে ভবানী ভবনে হাজিরা! পুলিশের জালে প্রতারণা চক্রের ৩ জন]

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর (Chhath Puja) বিরোধিতায় মামলা রুজু করেন। জাতীয় পরিবেশ আদালত সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করে। এছাড়াও জীববৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। রবীন্দ্র সরোবরে পুলিশ প্রহরা এবং প্রতিটি গেটে নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়। গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন কেএমডিএ’র (KMDA) কর্মীরাই। তবে তা সত্ত্বেও ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো হয়। পুলিশ প্রহরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একদল মানুষ রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে ছটপুজো করলেন, উঠতে থাকে সেই প্রশ্ন।

এবার কেএমডিএ’র তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে তাই রবীন্দ্র সরোবরে শর্তসাপেক্ষে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। তবে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলাকালীন বিশেষজ্ঞ কমিটির নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোয় প্রবল আপত্তি জানান পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তার ফলে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে (National Green Tribunal) কেএমডিএ’র আরজি খারিজ হয়ে যায়। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৭ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী চলতি বছরেও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়া যাবে না। কারণ তার ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নষ্ট হতে পারে জীববৈচিত্র্যও।

[আরও পড়ুন: আড়ম্বর নয়, করোনা কালে পুজোয় মানবিকতার উৎসব পালন করবে কলকাতার টালা পার্ক প্রত্যয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement