বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেরা রাজ্যে জোট বেঁধে কাজ করছে। সোমবার এমন অভিযোগই তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছে কংগ্রেস ও বাম। ভোটের দিকে তাকিয়েই মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদরদী সাজছেন বলে পালটা অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। বিজেপিকে সন্তুষ্ট করতেই কৃষকদের ধর্মঘটকে সমর্থন করতে পারছেন না বলে কটাক্ষ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর।
তিনটি কৃষি ও বিদ্যুৎ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ কৃষকদের ডাকা বনধকে সরাসরি সমর্থন না করলেও দাবির পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই সমর্থন লোক দেখানো বলে মনে করে কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতির অভিযোগ, এই কালা আইনের কারণে দেশের রেশন ব্যবস্থা এবং খাদ্যের সুরক্ষা সবটাই নষ্ট হয়ে যাবে। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের প্রতি ভোটের সময় দরদ দেখাচ্ছেন। অথচ এখনও রাজ্যের কৃষকরা সর্বনিম্ন সহায়ক মূল্য পান না। অনেক কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হন।
ধর্মঘট ইস্যুতে অধীরের পাশে দাঁড়ান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ২৬ তারিখের ধর্মঘট মানুষ সমর্থন করেছিল। ধর্মঘট ভাঙতে রাজ্য সরকার যে সার্কুলার মানুষ তাকে মান্যতা দেয়নি। আর সিঙ্গুরে বিজেপিকে পাশে নিয়ে মমতা আন্দোলন করেছিলেন। তাই বিজেপি যাতে পাশ থেকে সরে না যায় সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিমুখী অবস্থান বলে অভিযোগ সুজনের। রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতির জন্য বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিএমকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করান মুখ্যমন্ত্রী। তার জবাবে কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা জানান, “কংগ্রেস যুগ যুগ ধরে ধর্মনিরপক্ষেতার কথা বলেছে। আজ এই কঠিন সময়ে ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র দরকার। দরকার মৈত্রী ও সংহতির। আর তাই ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে দরকার একমাত্র কংগ্রেসকে।” এখানেই শেষ নয়, ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলুষিত করেছেন বলে অভিযোগ সুজনের। মমতাই প্রাদেশিকতার রাজনীতি শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ করেন সুজন। বারাকপুরে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রী অবাঙালিদের উদ্দেশে কী বলেছিলেন তাও একবার স্মরণ করিয়ে দেন বাম পরিষদীয় দলনেতা।
মুখ্যমন্ত্রী যে রাজনীতির আমদানি করেছে তার বিকল্প কংগ্রেস ও বামজোট বলে দাবি করেন এই দুই নেতা। তাঁরা মনে করেন, আগামিদিনের জোটই একমাত্র বিকল্প শক্তি। যে শক্তি তৃণমূলের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.