ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরেও বামজোটেই আগ্রহী অধীররঞ্জন চৌধুরী, ফের তা বুঝিয়ে দিলেন নিজেই। আর জি কর ইস্যুতে ডাকা কর্মসূচি থেকেও জোটের বার্তা দিলেন তিনি। ধর্মতলার ধরনামঞ্চ থেকে বামেদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন অধীর। এদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পদবি ভুললেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি কোনওদিনই ভালোভাবে নেননি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বরং বামজোটের পক্ষেই তিনি। যার জেরে দলের সঙ্গে দূরত্বও বাড়ে। জল্পনা, এর জেরেই অধীররঞ্জন চৌধুরীর পরিবর্তে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে শুভঙ্কর সরকারের হাতে। এই পরিস্থিতিতেও ধরনামঞ্চ থেকে বামেদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ডোরিনা ক্রসিংয়ে আর জি কর ইস্যুতে কংগ্রেসের তরফে ধরনার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানে ছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরীও। এদিকে পাশেই, কমবেশি ২০০ মিটার দূরে কর্মসূচি ছিল বামেদের। তিনদিক থেকে আসা মিছিল নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। একদিকে অধীর, অন্যদিকে মীনাক্ষী। সামান্য দূরত্বে সমান্তরালভাবেই চলল দুটি কর্মসূচি।
অধীররঞ্জন চৌধুরী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বামেদের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন। বললেন, “আন্দোলনের নেত্রী মীনাক্ষী পাশের মঞ্চে রয়েছেন। তাঁদের কর্মীরা এসেছেন। ওদের অভিনন্দন জানাই। উভয়ের আন্দোলনের বক্তব্য এক, ধরনের আলাদা। কিন্তু উদ্দেশ্য এক, আর জি কর।” এদিকে ধর্মতলার সভায় ‘বাংলার বাঘ’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পদবি ভুললেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী। মুখোপাধ্যায়ের বদলে স্যর আশুতোষ বন্দোপাধ্যায় বলে ফেলেন তিনি। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চে নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার লাইন বলতে গিয়ে ভুলে গিয়েছিলেন মীনাক্ষী। অকপটে স্বীকারও করেছিলেন ‘ভুলে গেছি’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.