সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে কংগ্রেসের মাত্র দু’জন সাংসদ কোনওক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন। শোচনীয় ফলাফলের পরও দুই সাংসদকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। শনিবার বিধান ভবনে দুই সাংসদকে সংবর্ধনা দেওয়ার যথাযথ আয়োজনও করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ-সহ কেন্দ্রীয় নেতারাও। কিন্তু, এসবের মধ্যেও স্পষ্ট হয়ে গেল প্রদেশ নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সোমেন মিত্ররা ‘জামাই আদরের’ ব্যবস্থা করলেও দুই সাংসদের মধ্যে এক সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরি এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও প্রদেশ দপ্তর বিধান ভবনে হাজির হলেন না। আর তা নিয়েই ছড়িয়েছে জল্পনা।
লোকসভা ভোটের সময়ই দেখা গিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস কার্যত দ্বিধাবিভক্ত। মুর্শিদাবাদে কার্যত একার হাতে লড়াই করছেন প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই বর্তমান প্রদেশ নেতৃত্বের। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেও কেউ মুর্শিদাবাদে প্রচারে যাননি। অধীরবাবু একার শক্তিতে জেলার বাকি দুটি আসন বাঁচাতে না পারলেও, নিজের গড় বহরমপুর থেকে জিতে এসেছেন। আসলে, অধীর চৌধুরিকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর থেকেই অধীর এবং সোমেন শিবিরের দ্বন্দ্ব শুরু হয় বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। যত সময় গিয়েছে সেই ফাটল আরও বেড়েছে।লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীনই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। ফলাফলের পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও দেখা মিলল না অধীরের। যদিও, প্রদেশ নেতাদের দাবি, অধীরবাবু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির হতে পারেননি। আগে থেকেই এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি ছিল অধীরের। সেজন্যই প্রদেশ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে পারেননি। প্রশ্ন হচ্ছে এতদিনের পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচিতে হাজির না হওয়ার জন্য এই বাহানা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
অনেকে বলছেন, বাংলায় কংগ্রেসের বর্তমানের দৈন্যদশার পিছনে কারণ সেই চিরাচারিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বাংলায় শক্তি কমতে কমতে দুই সাংসদের দলে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা হচ্ছে না প্রদেশ নেতাদের।লোকসভার বিশ্রী ফলাফলের পরও শিক্ষা হয়নি প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের। তারা এখনও ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে। এই খেয়োখেয়ি না মিটলে শীঘ্রই কংগ্রেস আরও ভাঙতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.