সুদীপ রায়চৌধুরী: টিভি চ্যানেলে মহাঅষ্টমীতে গোমাংস রান্নার করার কথা বলে গেরুয়া শিবিরের চক্ষুশূল হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই অভিনেত্রী দেবনীলা দত্তকে প্রকাশ্য মঞ্চে সম্বর্ধনা দিল আরএসএসের সাংস্কৃতিক শাখা সংস্কার ভারতী। যে ঘটনায় বুধবার সকাল থেকে দাবানলের মতো আগুন ছড়িয়েছে সংঘ পরিবারের সুখের সংসারে।
বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা হিসাবে গৌড়াধিপতি শশাঙ্ককে বাঙালির হৃদয় সম্রাট হিসাবে প্রতিষ্ঠা দিতে এ রাজ্যে গত চার বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। সেই উপলক্ষেই মঙ্গলবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে বঙ্গ নববর্ষের আগমনী আসরে রাজা শশাঙ্কের মূর্তির উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আরএসএসের সাংস্কৃতিক শাখা সংস্কার ভারতী। সেখানেই মঞ্চে ডেকে দেবলীনাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয় সংস্কার ভারতীর কেন্দ্রীয় সচিব নীলাঞ্জনা রায়, আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায়, রাজ্যের অন্যতম গেরুয়াপন্থী শিক্ষাবিদ অধ্যাপক স্বরূপপ্রসাদ ঘোষদের উপস্থিতিতে।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আগুন জ্বলেছে কেশব ভবনের অন্দরে। সরাসরি কিছু না বললেও সংঘের ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ জিষ্ণু বসুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমাদের জানা সময়ের মধ্যে শশাঙ্ক, যিনি বঙ্গাব্দ শুরু করেছিলেন, তাঁকে যথাযথ সম্মান দেওয়াটা উচিত বলে আমার মনে হয়।’’ সংস্কার ভারতীর প্রাক্তন সম্পাদক প্রবীর ভট্টাচার্য নিজের অসন্তোষ গোপন রাখেননি। বিদ্যার্থী পরিষদের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক ও হিন্দু সংহতির সভাপতি শান্তনু সিংহের কটাক্ষ, ‘‘নাম যেহেতু সংস্কার ভারতী, তাই বোধহয় অসংস্কারিতকে সংস্কারিত করার দায়িত্ব নিয়েছে।’’এবিষয়ে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল নীলাঞ্জনাদেবীর সঙ্গে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেন নি। সূত্রের খবর, সোশাল মিডিয়ায় ঝড়ের মুখে ঘনিষ্ঠ মহলে গোটা ঘটনার দায় সংঘের সম্পর্ক বিভাগের উপর চাপিয়ে তিনি বিতর্ক এড়িয়েছেন। ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি বিপ্লববাবুর সঙ্গেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.