সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের শহরে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে অ্যাসিড হামলা। জখম শিশু-সহ বেশ ছয়জন পথচারী। ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোড। ট্যাক্সিটি আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা ফেরার। কিন্তু, কী কারণে এই অ্যাসিড হামলা, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
[শিশুমৃত্যুতে ধুন্ধুমার এসএসকেএম হাসপাতালে, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ]
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক পণ্ডিতিয়া রোড। রাস্তার দু’ধারে অজস্র দোকান ও বহুতল। রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-ও খুব দূরে নয়। দিনের চব্বিশ ঘণ্টাই পণ্ডিতিয়া রোডে গাড়ি চলাচলের বিরাম নেই। দোকানগুলিও অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। কিন্তু, রবিবার রাতে যা ঘটল, তাতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতে বাড়ি থেকে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।
[রোগীর পরিজনকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার হাসপাতালের স্টোরকিপার]
ঘড়িতে তখন রাত ন’টা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি চলন্ত ট্যাক্সি থেকে অ্যাসিড ছুঁড়তে শুরু করেন বেশ কয়েকজন যুবক। অ্যাসিড ছুড়তে ছুড়তেই পণ্ডিতিয়া রোড দিয়ে চলে যায় তারা। ট্যাক্সিতে চালক-সহ ৪ জন যুবক ছিল। কিছুক্ষণ পর ট্যাক্সি নিয়ে পণ্ডিতিয়া রোডে ফিরে আসে চালক। ফের ছোড়া হয় অ্যাসিড। ঘটনায় হকচকিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা ও পথ চলতি মানুষ। অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছেন বেশ ছয়জন পথচারী। আহত হয়েছে এক শিশুও। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অ্যাসিড হামলার পর ট্যাক্সিটিকে ধাওয়া করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, গাড়িটির নাগাল পাননি তাঁরা। তবে ট্যাক্সির নম্বরটি নোট করে রেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে হরিশ মুখার্জি রোড থেকে ট্যাক্সিটিকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিশ। চালক-সহ অভিযুক্তরা পলাতক। রাতেই রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তরা। কিন্তু, কী কারণে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে অ্যাসিড ছোঁড়া হল? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। আক্রান্তদের দাবি, ব্যক্তিগত আক্রোশে যদি হামলা হত, তাহলে কোনও একজন লক্ষ্য করেই অ্যাসিড ছুঁড়ত দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং চলন্ত ট্যাক্সি থেকে বেপরোয়াভাবে অ্যাসিড ছোঁড়া হচ্ছিল।
ছবি: অরিজিৎ সাহা
[নেই ডিগ্রি, তবুও আশুতোষ কলেজে ১৪ বছর অধ্যাপনা করছেন মহিলা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.