অর্ণব আইচ: গড়িয়াহাটের (Gariahat) কাঁকুলিয়া রোডে শিল্পকর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় ধৃত মিঠু হালদারের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে তাকে। বৃহস্পতিবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় মিঠুর সঙ্গে তার ছেলে ভিকি-সহ বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্ত্রী এবং মাকে নিয়ে নিউটাউনের অভিজাত আবাসনেই বর্তমানে বাস করতেন শিল্পকর্তা সুবীর চাকি। গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি বিক্রি করবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী ক্রেতাও খুঁজছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন বিজ্ঞাপন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপন দেখে শিল্পকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত মিঠু হালদারের ছেলে ভিকি। পরিবারের দাবি, তুখোড় ইংরাজিতে শিল্পকর্তার সঙ্গে কথা বলে সে। বাড়ি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। শিল্পকর্তা তাঁর পরিজনদের জানান, একজন শিক্ষিত ব্যক্তি বাড়ি কিনতে আগ্রহী। তবে পুজোর সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়ায় ব্যস্ত ছিলেন শিল্পকর্তা সুবীর চাকি। তাই ভিকির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি। তাই দ্বাদশীর দিন গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন সুবীর চাকি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রেতা ভেবে ভিকিকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তিনি। কথাবার্তা চলার সময় ভিকিকে চিনে ফেলেন সুবীর চাকি। সে কারণেই শিল্পকর্তাকে ভিকি খুন করে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রমাণ লোপাট করতে ভিকি শিল্পকর্তার গাড়িচালককেও খুন করে বলেই অনুমান পুলিশের। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লুটপাটের উদ্দেশে ভিকি খুন করেছে শিল্পকর্তাকে। তবে কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িটি প্রায় ফাঁকাই ছিল। সেক্ষেত্রে ওই বাড়িতে ভিকি কি লুটপাট করত, সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
মিঠু এবং তার ছেলে ভিকি এর আগেও অপরাধমূলক কাজকর্ম করেছে। বাবাকে খুনের চেষ্টার অপরাধে গ্রেপ্তারও হয়েছিল সে। জেল থেকে বেরনোর পরপরই শিল্পকর্তা এবং গাড়িচালক খুনে নাম জড়িয়েছে তার। আপাতত কোনও খোঁজ নেই ভিকির। জেলবন্দি থাকাকালীনই শিল্পকর্তাকে খুনের ছক কষেছিল ভিকি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.