Advertisement
Advertisement

Breaking News

Karaya Murder

কড়েয়ায় প্রোমোটার খুনের পর হাওড়া হয়ে পালায় দুই খুনি, ভিনরাজ্যেও জারি তল্লাশি

গত শুক্রবার কড়েয়ায় খুন হন প্রোমোটার।

Accused in Karaya promoter murder may fled other state
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 15, 2024 9:45 am
  • Updated:July 15, 2024 9:52 am  

অর্ণব আইচ: কড়েয়ায় খুনের পর হাওড়া হয়েই পালায় দুই খুনি। হাওড়া স্টেশনের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুই খুনিকে চিহ্নিত করল পুলিশ। পুলিশের ধারণা, সঙ্গে থাকা বাইক ও স্কুটি হাওড়া স্টেশনের বাইরে কোথাও রেখে তারা ট্রেন ধরে পালিয়েছে ভিনরাজ্যে। যদিও স্কুটি ও বাইক করেই তারা ভিনরাজ্যে পালিয়েছে কি না, সেই ব‌্যাপারে নিশ্চিত হতে রাজ্যের একাধিক টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করছে পুলিশ। পুলিশের টিম তল্লাশি চালাচ্ছে ভিনরাজ্যেও।

গত শুক্রবার ভোররাতে কড়েয়ার শামসুল হুদা রোডে নিজের অফিসঘরের ভিতর খুন হন প্রোমোটার সামশের আলি। প্রোমোটারের বাইক ও স্কুটি নিয়ে পালায় তাঁরই ছায়াসঙ্গী তথা ‘বডিগার্ড’ রাহুল ও এক সঙ্গী। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, খুনিদের বাইক ও স্কুটি নিয়ে পালানোর দৃশ‌্য উঠেছে আশপাশের দু’টি সিসিটিভি ক‌্যামেরার ফুটেজেও। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ হাওড়ায় পৌঁছয়। হাওড়া স্টেশনের বাইরের সিসিটিভিতেও তাদের দেখা গিয়েছে বাইক ও স্কুটি করে যেতে। যদিও তার পর তারা সড়কপথেই পালিয়েছে কি না, তা নিয়ে পুলিশ ধন্দে। পুলিশের ধারণা, শেষ পর্যন্ত হাওড়া থেকে ট্রেনে করেই পালিয়েছে তারা। তাই হাওড়া স্টেশনের ভিতর সিসিটিভির ফুটেজও পুলিশ পরীক্ষা করছে। রাহুলের বাড়ি অসমে হলেও সে বিহার বা অন‌্য রাজ্যে সঙ্গীকে নিয়ে পালিয়েছে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে, রাহুল নামে ওই খুনের মূল অভিযুক্ত সামশেরের কর্মচারী হলেও গত এক বছর ধরে বিভিন্ন কারণে দুজনের মধ্যে গোলমাল হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোপা ফাইনালে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে মেসি, ভেঙে পড়লেন কান্নায়]

পুলিশ জেনেছে, বছর দুয়েক আগে রাজারহাট ও নিউটাউনে বিভিন্ন কাজ করত রাহুল। ওই সময়ে সামশের অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ধরাও পড়েছিলেন। রাজারহাটে যাতায়াতের সূত্র ধরেই রাহুল সামশেরের নজরে আসে। তিনি তাকে কাজে নিয়োগ করেন। কিন্তু এক বছর আগে টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে সামশেরের সঙ্গে রাহুলের গোলমাল হয়। তখন তাকে এলাকার বাসিন্দারাই তাড়িয়ে দিতে বলেন। যদিও রাহুল ক্ষমা চাইলে সামশের তাকে রেখে দেন। খুনের এক সপ্তাহ আগে ফের দুজনের মধ্যে গোলমাল হয়। তখন রাহুলকে মারধর করে সামশের। পুলিশের মতে, সেই শোধ তুলতে সামশেরের মাথায় চপার দিয়ে এতটাই জোরে খুনি আঘাত করে যে, তাঁর মাথা থেকে ঘিলুর প্রায় পুরো অংশই ছিটকে গিয়ে পড়ে বালিশ ও বিছানায়। দেওয়ালে পর্যন্ত চপারের দাগ পড়ে যায়। তাদের সন্ধানে ভিনরাজ্যে তল্লাশিও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘খোরপোশ শরিয়ত বিরোধী’, সুপ্রিম রায়ের বিরুদ্ধে মামলা মুসলিম ল বোর্ডের!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement