সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের প্রথম দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মমতার কালীঘাটের বাড়িতে যান তিনি। সূত্রের খবর, তার পরই মমতার বাড়িতে যান ফিরহাদ হাকিমও। কী কারণে আচমকা অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গেলেন, তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।
বছরের প্রথম দিন কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। একাধিক অনুষ্ঠান মঞ্চেই ছন্দপতন। প্রবীণ-নবীন ইস্যুতে দলের নেতাদের মধ্যে যে মতানৈক্য রয়েছে, তা যেন এদিন প্রকট হয় খানিকটা। এদিন সুব্রত বক্সি বলেন, “অভিষেক আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করলে, আশা করি, ও লড়াই থেকে পিছিয়ে আসবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবে।” আর তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি তোলেন দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
তারই পালটা কুণাল বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতিকে সম্মান করি। কিন্তু তাঁর বাক্যগঠন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এটা কখনওই কাঙ্ক্ষিত নয়। অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল।’’ শুধু তা-ই নয়, নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয়ের দায়ও প্রকারান্তরে দলের রাজ্য সভাপতি বক্সির উপর দেন কুণাল। নৈহাটিতে অর্জুন সিংহ-সোমনাথ শ্যামের দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারার দায় অবশ্য নাম করেই কুণাল চাপিয়েছেন বক্সির উপর। বলেছেন, ‘‘নৈহাটির ব্যাপরটাও তো উনি সামলাতে গিয়েছিলেন। ওটার তো কোনও ফয়সলাই হল না!’’
এদিন চাকরির বিনিময়ে আর্থিক দুর্নীতির কথাও কার্যত স্বীকার করে নেন ফিরহাদ হাকিম। বেশ খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে হেভিওয়েট মন্ত্রী বলেন, “টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার মতো অসৎ কাজ করা আর মায়ের মাংস কেটে খাওয়া একই ব্যাপার!” এই ইস্যুতেও পালটা সুর চড়ান কুণাল। তিনি বলেন, “দুর্নীতি যখন হয়েছিল, তখন বাধা দেননি কেন? আটকাননি কেন? তিনি বলেছেন, ববিদা সিনিয়র নেতা, সঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু দুঃখ একটাই, অনেকদিন আগে আমি যখন একই কথা বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল, এটা মন্ত্রিসভার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। কুণাল ঘোষ মন্ত্রিসভার কেউ নন! পার্থদার (প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়) কথা বলেছিলাম। তখনও বলা হয়েছিল, মন্ত্রিসভার কালেকটিভ ডিশিসন।” প্রতিক্রিয়া-পালটা প্রতিক্রিয়ার মাঝে আচমকা মমতার কালীঘাটের বাড়িতে অভিষেক কেন গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু চাপানউতোর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.