ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরজিৎ দেব: “আমি যদি কোনওদিন পুত্রসন্তানের বাবা হতে পারি, তাহলে আমার সন্তানকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পাঠাব। কারণ ভারতবাসী হিসেবে এটা আমার কর্তব্য বলে মনে করি। আর একজন বাবা হিসেবে আমি সেজন্য গর্বিতও হব।”– দেশকে ভালবেসে ও শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এমনটাই সোমবার জানিয়ে ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “দেশের প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্যের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া উচিত।” এবার নিজের তিন মাসের বেতন সশস্ত্র সেনাবাহিনীর তহবিলে দান করলেন সাংসদ। পাশাপাশি মঙ্গলবার টুইট করে সমস্ত দেশবাসীকে নিজেদের সন্তানকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করার আবেদনও করেন যুব তৃণমূল সভাপতি।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের চড়িয়ালে একটি সেতুর শিলান্যাস করেন সাংসদ অভিষেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। ওইদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “উগ্রপন্থার কোনও জাত হয় না। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের হাতে ভারতের যে সেনা জওয়ানরা শহিদ হলেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সমস্ত ভারতবাসী জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। উগ্রপন্থীদের এ ধরনের কাজের তীব্র ধিক্কার জানাই।” এরপরই তিনি জানান, আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত হল, পরিবারপিছু একজনের সেনাবাহিনীতে যাওয়া উচিত।
[দেশপ্রেমের নামে দাঙ্গায় ইন্ধন বিজেপি-আরএসএসের, অভিযোগ মমতার]
মঙ্গলবার তিনি টুইট করেন, দেশের প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক ও সাংসদের উচিত নিজেদের সন্তানকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করা। সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করা। এর জন্য গোটা দেশে সচেতনতা শিবির, আলোচনা সভা, প্রশ্নোত্তর পর্ব বিভিন্ন স্কুল-কলেজ তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আয়োজন করার যৌক্তিকতার কথা তুলে ধেরন তিনি। তারপরই কেন্দ্রের সমালোচনা করে লিখেছেন, বুলেট ট্রেনের আগে আমাদের জওয়ানদের জন্য চাই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। আর এই শোকের সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখারও অনুরোধ করেছেন সাংসদ। উল্লেখ্যে, গতকালের মতো এদিনও নিজের সন্তানকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
There are times one needs to go beyond just words… after Pulwama. pic.twitter.com/W5ujDP3Kis
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) February 19, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.