Advertisement
Advertisement

Breaking News

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

‘বন্দরের নাম বদলে আপত্তি নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষের কী লাভ?’, মোদিকে কটাক্ষ অভিষেকের

শ্যামাপ্রসাদকে কিংবদন্তী আখ্যা তৃণমূল সাংসদের।

Abhisek Banerjee take digs at Narendra Modi renaming Kolkata Port
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 12, 2020 7:03 pm
  • Updated:September 8, 2020 3:18 pm  

ধ্রবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতা বন্দরের নাম বদল নিয়ে এবার তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। কলকাতা বন্দরের নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এতে দেশের মূল সমস্যার কোনও সমাধান হবে না বলে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির টুইট খোঁচা, নাম বদলে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হয় না। বরং বন্দর উন্নয়ন এবং জলপথ উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিলে কর্মসংস্থান ও লগ্নির সুযোগ তৈরি হত। যা স্বামীজির জন্মদিনে বাংলার যুব সম্প্রদায়ের কাছে জাতীয় যুব দিবসের উপহার হত।

তবে এদিন টুইটের শুরুতে যেভাবে শ্যামাপ্রসাদের স্তুতি করেছেন তাতে আবার রাজনৈতিক জল্পনা বাড়ছে। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে বন্দরের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই উঠছে প্রশ্ন। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী জানতেন, শ্যামাপ্রসাদের নামে বন্দরের নামকরণ হতে পারে? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। আর অভিষেক তাঁর টুইটে প্রথম লাইনে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের মতো একজন কিংবদন্তী ব্যক্তিত্বের নামে বন্দরের নামকরণ করাতে বাংলার কোনও সমস্যা নেই। তাতেই জল্পনা, এতদিন শ্যামাপ্রসাদের নাম কখনও উচ্চবাচ্য করেনি তৃণমূল। তাহলে এদিন কেন নাম বদলে আপত্তি নেই শাসকদলের? এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এদিন বন্দরের অনুষ্ঠানে সুযোগ বুঝে রাজ্য সরকারকেও বিঁধেছেন। আয়ুষ্মান প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী কিষাণ বিকাশ নিধি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। পরোক্ষে শাসকদলকেই এদিন কটাক্ষ করেছেন মোদি।

[আরও পড়ুন: কলকাতা বন্দরের নাম হল শ্যামাপ্রসাদের নামে, মমতার অনুপস্থিতিতেই ঘোষণা মোদির]

তবে শ্যামাপ্রসাদের নামে বন্দরের নামকরণে আপত্তি না জানালেও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ডায়ম্নড হারবারের সাংসদ। বুলবুলের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। সে বিষয়ে এদিন কোনও উচ্চবাচ্য করেননি মোদি। তা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, বিজেপি শাসিত রাজ্য এবং অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মধ্যে বরাবর প্রধানমন্ত্রী বৈষম্য করেন। বারবার কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হয় অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement