রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একদিন আগে ‘সদিচ্ছা’ দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছিলেন। দরকারে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ বুধবার ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন না বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উলটে রণং দেহী মেজাজে ছিঁড়ে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি। কেন? নেপথ্যে কি দলের চাপ? অন্তত বিজেপি সূত্রের তেমনটাই খবর।
সূত্রের দাবি, অভিজিৎবাবু যেভাবে আগ বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সুপরামর্শ’ দিতে গিয়েছিলেন, যেভাবে আগ বাড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেটা ‘নাপসন্দ’ বিজেপি নেতৃত্বের। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদকে সেই বার্তাই দিয়েছেন। এবং শুভেন্দু ও সুকান্তর বার্তার পরই ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ালেন অভিজিৎ।
প্রাক্তন বিচারপতি সাংসদ অবশ্য প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, তাঁর ব্রাত্যর সঙ্গে দেখা না করার সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, “এই সরকারের চাকরি ফেরত দেওয়ার সদিচ্ছাই নেই। সদিচ্ছা থাকলে চাকরিহারাদের সঙ্গে এমন আচরণ করত না প্রশাসন।” অভিজিৎবাবুর বক্তব্য, “সরকার যখন সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না, তখন আমাদের তরফেও সদিচ্ছা দেখানোর মানে হয় না। যে চিঠি নিয়ে আমার ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, সেই চিঠি নিয়ে আমি আর বিকাশ ভবনে যাব না।” প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি ছিঁড়েও ফেলেন তিনি।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখনই সন্দেহপ্রকাশ করেন, যে রাতারাতি অভিজিতের সিদ্ধান্ত বদলের নেপথ্যে বিজেপির উপরমহলের বারণ থাকতে পারে। ব্রাত্য অভিজিতের সাক্ষাৎ এড়ানো প্রসঙ্গে বলে যান, “আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কেন এলেন না জানি না। দল বারণ করেছে কি না আমি জানি না।” ব্রাত্যর সেই সন্দেহ যে অমূলক নয়, বিজেপি সূত্র অন্তত তেমনটাই বলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.