বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। তা নিয়ে নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। ইসকন মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দাপ্রস্তাবের দাবিতে রাষ্ট্রসংঘে চিঠিও পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এপার বাংলাতেও সকলে সরব। শনিবারই সিপিএমের (CPM)তরফে বিবৃতি জারি করে নিন্দা করেছেন পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। এবার এনিয়ে নিন্দায় সরব হলেন সংযুক্ত মোর্চা জোটের অন্যতম শরিক তথা বামেদের সহযোগী আইএসএফ সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui)। ‘অপরাধীদের কোনও ধর্ম হয় না’ – এই বলে নিন্দা করে লিখিত বিবৃতি জারি করেছেন তিনি।
আব্বাস সিদ্দিকী নিজে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। ওই ধর্মীয় উপাসনালয়ের তরফে নিন্দা করা হয়েছে বাংলাদেশে ঘটে চলা ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক হিংসার। রবিবার লিখিত বিবৃতি দিয়ে আব্বাস জানিয়েছেন, ”কোনও প্রকৃত ধার্মিক অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করে না। কারণ, প্রকৃত ধর্ম অধর্মের শিক্ষা দেয় না এবং সমস্ত অপকর্ম বর্জনের শিক্ষা দেয়। সমস্ত ধর্মই সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় বলে আমি বিশ্বাস করি।” এরপর তিনি বিবৃতিতে লেখেন, ”যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাই।”
আসলে বাংলাদেশের পূজামণ্ডপে ইসলামদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরান (Quran) অবমাননার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চলে। কুমিল্লার এই ঘটনার পর আবার নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরে (Iskcon Temple) ভাঙচুর করে এক সদস্যকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। গোটা দেশেই সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়া মোড় নেয়। যদিও বাংলাদেশের শেখ হাসিনা প্রশাসন কড়া হাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। প্রায় দেড়শো জনকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই ভূমিকায় খুশি ভারত। তবে এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা থামছেই না। এবার ফুরফুরা শরিফের তরফেও নিন্দা করে লিখিত বিবৃতি জারি করা হল। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন আব্বাস সিদ্দিকিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.