Advertisement
Advertisement
খুন

মাস্ক পরতে রাজি না হওয়ায় ছেলেকে খুন, থানায় আত্মসমর্পণ বাবার

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

A youth killed by his father ins north kolkata's shyampukur area
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 19, 2020 8:44 am
  • Updated:April 19, 2020 9:02 am  

অর্ণব আইচ: করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কিছুতেই মাস্ক পড়তে রাজি হচ্ছিলেন না শোভাবাজার লেনের বাসিন্দা শীর্ষেন্দু মল্লিক। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। শুধু মাস্ক ব্যবহারে রাজি না হওয়ায় বাবার হাতে খুন হতে হল তাঁকে! ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শোভাবাজার লেনের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর শীর্ষেন্দু বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। এছাড়া মৃগী রোগও রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই বিকেলে বাবা বংশীধর মল্লিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হতেন শীর্ষেন্দু। এই করোনা আবহে তার অন্যথা হয়নি। তবে নিরাপত্তার কারণে প্রতিদিনই ছেলেকে মাস্ক পড়তে বলত বংশীধর। কিন্তু ছেলে কথা শুনতে নারাজ। এই নিয়ে নিয়মিত অশান্তি লেগেই ছিল। শনিবার বিকেলে বের হওয়ার সময় ফের সে শীর্ষেন্দুকে মাস্ক পড়তে বলে। এদিনও কিছুতেই রাজি হননি ছেলে। এতেই রাগের বশে ছেলের গলায় কাপড় জড়িয়ে তাঁকে খুন করে বংশীধর। এরপর নিজেই শ্যামুকুর থানায় হাজির হয় অভিযুক্ত। গোটা বিষয়টি জেনে মল্লিকবাড়িতে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় সিদ্ধার্থর নিথর দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার করোনার থাবা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে, বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি স্বাস্থ্যকর্তা]

জানা গিয়েছে, শুধু ছেলেই নয়, ধৃতের স্ত্রী প্রায় ১৮ বছর ধরে শয্যাশায়ী। বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই ব্যক্তি স্ত্রী ও ছেলের প্রতি কার্যত বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই এদিন মাস্ক পরা নিয়ে ছোট্ট বচসা থেকে এই ঘটনা। যদিও অভিযুক্তের এই মানসিকতার পিছনে করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের বড়সড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্রেফ মাস্ক পরা নিয়েই বছর পঁয়তাল্লিক সিদ্ধার্থকে খুন হতে হল বৃদ্ধ বাবার হাতে? নাকি গোটা ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

[আরও পড়ুন: এবছর পুজোর বাজেটও করোনার গ্রাসে, খরচ অর্ধেক করছে কলকাতার নামী ক্লাবগুলি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement