ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: একবালপুরে (Ekbalpur) কিশোর খুনে গ্রেপ্তার দাদা। ধৃতের নাম মুবারক আনসারি। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত যুবক। ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও যোগ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় একবালপুরের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মুজাহিদ আনসারি (১৪) নামে এক কিশোরের দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের গিরিডির সুরিয়া এলাকার বাসিন্দা সে। তার বাবা হানিফ আনসারিও নির্মাণ শ্রমিক। বাবার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল সে। একবালপুর এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করত বাবা ও ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। বাবা ও অন্য শ্রমিকরা খোঁজও করেন। হানিফ আনসারি মনে করেছিলেন, তাঁর ছেলে একবালপুর এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে গিয়েছে। তাই আশপাশের এলাকায়ও খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পাওয়ায় সন্দেহ হয় হানিফের। তিনি ওই বাড়ির ভিতর প্রত্যেকটি ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ৬ তলার একটি ঘরের ভিতর থেকে অচেতন অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তার মুখ ও শরীরের কিছু জায়গায় প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশের সন্দেহ ছিল, পিটিয়ে ও মুখে বাটালি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে ওই কিশোরকে। খবর পেয়ে একবালপুরের ঘটনাস্থলে যান লালবাজারের গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা হয়, কাজ করার সময় কোনও নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে ওই কিশোরের বচসা হয়। সেই কারণেই তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কিশোরের মৃত্যুর রহস্যভেদ করে ফেলে পুলিশ। ভাইকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় মুবারক আনসারিকে। পুলিশের দাবি, পুরনো বচসার জেরেই ভাইকে খুন করার কথা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.