ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: যাদবপুরের (Jadavpur) রায়পুর ইস্ট রোডে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্যের মোচড়। প্রতিবেশীদের দাবি অনুযায়ী, ছেলের অতিরিক্ত অর্থের চাহিদাই কী কাল হল নাকি তার দীর্ঘদিনের মানসিক অসুস্থতার ছন্দপতন হল পরিবারের? খুনের সম্ভাব্য কারণগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রতিবেশীদের দাবি, উপার্জন ছিল না এক পয়সা। তা সত্ত্বেও বিলাসবহুল জীবনযাপনে বরাবর ঝোঁক ছিল যাদবপুরের রায়পুর ইস্ট রোডের বাসিন্দা অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নাইট ক্লাব, পাবে যাতায়াত লেগেই থাকত বছর একত্রিশের ওই যুবকের। অপর্ণের প্রচুর বান্ধবী ছিল। যার ফলে টাকার প্রয়োজনীয়তা ছিল অত্যন্ত বেশি। অবসরপ্রাপ্ত বাবা শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে তার প্রয়োজনীয় টাকার জোগান দেওয়া সম্ভব ছিল না। আর তার ফলে বাবার উপর নিত্যদিন চলত অত্যাচার। অভিযোগ, অর্পণ দিনের পর দিন বাবাকে বেধড়ক মারধর করত।
শুক্রবার তা বিরাটাকার নেয়। প্রতিবেশীদের দাবি, সন্ধে থেকে বাবা-ছেলের ঝগড়াঝাটি চলছিল। রাত ন’টা নাগাদ প্রতিবেশীরা ঘরের মধ্যে বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকার বাসিন্দারা তাঁর ছেলে অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরে ফেলেন। অভিযোগ, গোলমালের সময় অর্পণ তার বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পড়ে গিয়ে তাঁর মাথায় চোট লাগে। তখনই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ওই যুবক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
যদিও ওই বৃদ্ধকে তাঁর ছেলে অর্পণ খুন করেছে তা মানতে নারাজ যুবকের মা। তাঁর দাবি, শুভময়বাবুকে কোনওদিনই টাকার জন্য চাপ দিত না অর্পণ। পরিবারের প্রতি ওই বৃদ্ধ কোনও দায়দায়িত্ব পালন করতেন না বলে অভিযোগ অর্পণের মায়ের। আবার পুলিশের দাবি মানসিক রোগী ছিলেন অর্পণ। সত্যিই আর্থিক বিবাদে বাবাকে খুন করেছে ছেলে নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে, গড়ফা থানা এলাকার মনসাতলা লেনে প্রিয়াঙ্কা রাই নামে এক গৃহবধূকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর স্বামী প্রণাম রাইকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.