অর্ণব আইচ: পরিকল্পনামাফিকই সোনার বার ও নগদ টাকা লুঠ করা হয়েছিল। কিন্তু, নজর ঘোরানোর জন্য ডাকাতির মিথ্যা গল্প ফাঁদতে গিয়ে শাগরেদ-সহ ধরা পড়ে গেল সোনা কারখানার এক কর্মচারী। সোনার ৯টি বার ও নগদ দেড় লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণিতে।
[বিমানবন্দরে নারী পাচারকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার যুবক, উদ্ধার ২ নাবালিকা]
রবীন্দ্র সরণির বাঁশতলা মোড়ের কাছে একটি সোনার কারখানার কর্মী অভিযুক্ত বাণী সিং। কারখানার মালিক মণীশ ছেত্রী জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তিনি দেখেন, কারখানায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাণী। মালিককে সে জানায়, কয়েকজন লোক জল খাওয়ার নাম করে কারখানায় ঢোকে। বাণীর মুখে তরল জাতীয় কোনও পদার্থ ছুড়ে দেয় তাঁরা। তাতে জ্ঞান হারায় সে। দেখা যায়, দোকান থেকে সোনার ৯টি বার ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা উধাও। ঘটনায় জোড়াসাঁকো থানার অভিযোগ দায়ের করেন কারখানার মালিক মণীশ ছেত্রী। তদন্তের নেমে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী বাণী সিংকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। কিন্তু, তার বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। বাণীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, লালবাজার লাগাতার জেরায় ভেঙে পড়ে সে। সোনা কারখানার ওই কর্মী জানান, কারাখানায় ডাকাতির কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এক বন্ধুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সে নিজেই সোনার বার ও নগদ টাকা লুঠ করেছে।
[আধপেটা খেয়ে দুই মেয়ের বোঝা জন্মদাত্রী, গৃহবন্দি ‘ভাগের’ মা]
বাণীকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। হাওড়া থেকে মহিন্দর সিং নামে অপর এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আস্তানা থেকেই উদ্ধার হয় খোয়া যাওয়া সোনার ৯টি বার ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই মহিন্দর সিং আদপে হায়দারাবাদের বাসিন্দা। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই হাওড়ায় থাকত সে। এই ঘটনার সঙ্গে কি শুধু বাণী ও মহিন্দরই যুক্ত? নাকি বড়সড় কোনও চক্র কাজ করছে? ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
[ক্যালকাটা ওয়্যার চিটফান্ডে তল্লাশি, শাহজাহানের খোঁজে সিবিআই]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.